মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম খান রিমান্ড শেষে শুক্রবার মিনহাজকে ঢাকার
মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
শুনানি
নিয়ে মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ সময় মিনহাজের
পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না আদালতে।
পুলিশের পক্ষ
থেকে আদালতে বলা হয়,
৩৮ বছর বয়সী মিনহাজ বাংলাদেশে জন্ম নিলেও পাকিস্তানে বড় হয়েছেন। সেখান থেকে পরিবারের
সবার সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। পড়ালেখা ও চাকরি সূত্রে মালয়েশিয়া, ব্রনাইসহ বিভিন্ন দেশ ঘুরে ২০১৭ সালে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
“সে
উগ্রবাদী ভাবাদর্শে দীক্ষিত হয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সিরিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে তুরস্কে গেলেও সিরিয়ায় ঢুকতে পারেনি। এরপর গত ডিসেম্বরে আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে খুলনায় আত্মগোপন করে।
“সে
নব্য জেএমবির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। দেশে কথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার সংকল্প করে কাজ শুরু করে। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। দরকার হলে তাকে আবারও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হবে।”
গত
২৩ জানুয়ারি রাতে ঢাকার দারুস সালাম থানার কোনাবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিনহাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের
কাউন্টার টেরোরিজম
ইউনিট।
তার
বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হলে সেই মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য চার দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।