ক্যাটাগরি

মরা ঘাসের উইকেটে সজীব ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং

চট্টগ্রামে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম
দিন লাঞ্চ বিরতির সময় বিসিবি একাদশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের
রান ২৭ ওভারে ১ উইকেটে ৮৯।

৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৪ রান করে বিদায় নিয়েছেন ওপেনার
জন ক্যাম্পবেল। আরেক ওপেনার ও অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট অপরাজিত ৬২ বলে ৩২ রানে।

লাঞ্চের একটু আগে ব্র্যাথওয়েটকে ২৫ রানে ফেরানোর
একটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ফেলে দিন ফিরতি ক্যাচ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আদর্শ প্রস্তুতির সুযোগ না দিতে
এই ম্যাচের বিসিবি স্কোয়াডে রাখা হয়নি কোনো বাঁহাতি স্পিনার বা স্পেশালিস্ট অফ স্পিনার।
ম্যাচের উইকেটও দেওয়া হলো না স্পিন সহায়ক। বাংলাদেশের এই কৌশলে ক্যারিবিয়ানরা যে দোষের
কিছু দেখেন না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন কোচ ফিল সিমন্স। বিসিবি একাদশের অনিয়মিত অফ
স্পিনার শাহাদাত হোসেনই অবশ্য বেশ ভোগালেন ক্যারিবিয়ানদের। একমাত্র উইকেটও তার শিকার।

ক্যাম্পবেলকে ফেরানোর পর শাহাদাতকে সতীর্থদের অভিনন্দন।

ক্যাম্পবেলকে ফেরানোর পর শাহাদাতকে সতীর্থদের অভিনন্দন।

মরা ঘাসের উইকেটে সকালে বেশ প্রাণবন্ত বোলিং
করেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। টেস্টের চূড়ান্ত স্কোয়াডে থাকার জন্য এই ম্যাচে তার পারফর্ম
করা জরুরি। উইকেট না পেলেও বেশ আগ্রাসী ছিলেন এই পেসার। প্রথম পানি পানের বিরতি পর্যন্ত
এক প্রান্ত থেকে টানা ৭ ওভার বোলিং করেন। বিরতির পরও করেন আরেকটি। তার টানা স্পেল ছিল
৮-২-২২-০।

খালেদের অফ স্টাম্প ঘেষা বাড়তি লাফানো দুর্দান্ত
এক ডেলিভারিতে শুরু হয় ম্যাচ। বাড়তি বাউন্সেই তিনি কয়েকবার অস্বস্তিতে ফেলেন ব্র্যাথওয়েট-ক্যাম্পবেলকে।
ব্র্যাথওয়েটের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে অল্পের জন্য বল স্লিপের হাতে যায়নি দুইবার।

আরেক প্রান্তে তরুণ পেসার মুকিদুল ইসলাম লেগ
স্টাম্পের বাইরে দুটি ডেলিভারি দিয়ে শুরু করলেও পরে খারাপ করেননি।

মুকিদুলের বলে দুর্দান্ত এক অন ড্রাইভে চার মেরে
শুরুর অস্বস্তি ঝেরে ফেলেন ব্র্যাথওয়েট। খালেদকে স্কয়ার ড্রাইভে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট
দিয়ে চার মেরে ক্যাম্পবেল পান প্রথম বাউন্ডারির দেখা।

তৃতীয় পেসার শাহিন আলম আক্রমণে আসার পর আলগা
বোলিংয়ে ক্যারিবিয়ানদের রানের গতি বাড়ে আরেকটু। তরুণ এই পেসারকে পরপর দুই ওভারে কাভার
ড্রাইভে চার মারেন ক্যাম্পবেল। ছক্কাও মারেন তার বলেই। প্রথম ৩ ওভারে ২২ রান দেওয়ার
পর অন্য প্রান্তে আনা হয় শাহিনকে। এরপর একটু নিয়ন্ত্রণ দেখা যায় তার বোলিংয়ে।

সহজাত আগ্রাসী ব্যাটসম্যান ক্যাম্পবেল খেলেন
বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শট। তাতে রান যেমন বাড়তে থাকে, তার সঙ্গী হয় ঝুঁকি। শেষ পর্যন্ত
সেই প্রবণতাই ডেকে আনে তার পতন। শাহাদাতকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি মিড অনে।
ভেঙে যায় ৬৭ রানের উদ্বোধনী জুটি।

ব্র্যাথওয়েট খেলেছেন তার মতোই ধীরে-সুস্থে। রানের
চেয়ে তার মনোযোগ বেশি উইকেটে সময় কাটাতে। তিনে নেমে লাঞ্চ পর্যন্ত অধিনায়ককে সঙ্গ দেন
শেন মোজলি।

লেগ স্পিনার রিশাদ ম্যাচের শুরুতে মাঠের বাইরে
থাকলেও পরে নেমে লাঞ্চের আগে হাত ঘোরান ২ ওভার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (লাঞ্চ পর্যন্ত) :

ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২৭ ওভারে ৮৯/১ (ব্র্যাথওয়েট ৩২*, ক্যাম্পবেল
৪৪*, মোজলি ৯*; খালেদ ৮-২-২২-০, মুকিদুল ৭-৩-১৪-০, শাহিন ৬-০-২৮-০, শাহাদাত ৪-১-১৫-১,
রিশাদ ২-০-৮-০)।