বিবিসি জানায়, প্রায় তিন লাখ মানুষ নতুন এই ভিসা ব্যবস্থায় হংকং ছেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হংকংয়ের ব্রিটিশ জাতীয় (বিদেশি) পাসপোর্টধারীরা এবং তাদের ঘনিষ্ঠজনরা স্মার্টফোনের একটি অ্যাপ ব্যবহার করে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
গতবছর জুলাইয়ে চীন হংকংয়ে নতুন নিরাপত্তা আইন চালুর পর এই ভিসা প্রক্রিয়ার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। এরপর চীন তাদের ঘরোয়া বিষয়ে যুক্তরাজ্যকে হস্তক্ষেপ না করার ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়।
হংকংয়ের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ ভিসা চালু প্রসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সাবেক উপনিবেশের ইতিহাস ও বন্ধুত্বের গভীর সম্পর্কের সম্মানে এই পদক্ষেপ।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের হিসাবমতে, গত জুলাই থেকে হংকংয়ের প্রায় ৭ হাজার মানুষ যুক্তরাজ্যে গিয়ে বসবাসের সুযোগ পেয়েছে। তবে তাদের ক্ষেত্রে নতুন ভিসা ব্যবস্থা চালু ছিল না।
বিবিসি জানায়, বিশেষ ভিসায় যারা আবেদন করবেন এবং ভিসা নিশ্চিত করতে পারবেন, তারা পাঁচ বছর পর সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস এবং ১২ বছর পর ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যদিও হংকংয়ের ২৯ লাখ নাগরিক ও তাদের ২৩ লাখ স্বজন যুক্তরাজ্যে যাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত, তারপরও ব্রিটিশ সরকার মনে করে, প্রায় তিন লাখ মানুষ প্রথম পাঁচ বছরে নতুন এই সুযোগ লুফে নেবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছেন, “নতুন এই ভিসা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে হংকংয়ের বিএনও (ব্রিটিশ ন্যাশনাল ওভারসিজ) পাসপোর্টধারীদের যুক্তরাজ্যে বাস করা, কাজ করা এবং বসতিস্থাপনের সুযোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত।”
হংকংয়ের ৩০ লাখ বাসিন্দাকে ‘নাগরিকত্বের’ প্রস্তাব যুক্তরাজ্যের
“হংকংয়ের অধিবাসীদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব ও ঐতিহাসিক গভীর সম্পর্কের প্রতি সম্মান জানাতে যা করা দরকার; আমি তা-ই করছি। আমরা স্বাধীনতা, স্বায়ত্তশাসন এবং যুক্তরাজ্য-হংকংয়ের ধারণ করা মূল্যবোধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।”
তবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ভ্রমণের নথি হিসাবে বিএনও পাসপোর্টকে আর স্বীকৃতি দেবে না এবং এটি পরিচয়পত্র হিসাবে গ্রহণ করা হবে না। এরপর তাদের আরও পদক্ষেপ নেওয়ার এখতিয়ারও আছে বলে চীন জানিয়েছে।