বিবিসি জানায়, ইউরোপীয় কমিশন শুক্রবার বলেছে, “আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়টিতে অগ্রাধিকার আছে এবং আমরা এখন যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছি তাতে এর একটি বিহিত করা ছাড়া কোনও উপায়ও নেই।”
কোভিড টিকা সরবরাহ করা নিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে তিক্ত বিরোধে জড়িয়েছে ইইউ। পরিকল্পনা অনুযায়ী যে পরিমাণ টিকা ২৭-সদস্য দেশের ব্লকটিতে (ইইউ) সরবরাহ করার কথা তা করতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার অপারগতা নিয়েই এ বিরোধ।
এক সপ্তাহ আগেই অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইইউ’কে জানিয়েছিল, উৎপাদন সমস্যার জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী টিকা সরবরাহ করতে পারছে না তারা। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পক্ষ হয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে ওই ক্রয়াদেশ দিয়েছিল ইইউ, কিন্তু টিকা বিতরণে ধীর গতির জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছে তারা।
এ পরিস্থিতিতে ইইউ গত ২৬ জানুয়ারিতেই সতর্ক করে বলেছিল, তারা টিকা রপ্তানিতে কঠোর হতে পারে। এবার তারা রপ্তানিতে কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করে জানাল।
এ পদক্ষেপের ফলে ওষুধ কোম্পানিগুলো চুক্তি অনুযায়ী ইইউ-কে টিকা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে কোভিড টিকা রপ্তানিতে বিধিনিষেধের মুখে পড়বে।
ইইউ এর সদস্যদেশগুলোকে সেক্ষেত্রে কোভিড টিকা রপ্তানির ছাড়পত্র দেওয়ার আগে ইউরোপীয় কমিশনে গিয়ে যাচাই করে দেখতে হবে যে, টিকা নিয়ে ইইউ’র সঙ্গে আগাম চুক্তি করা কোনও ওষুধ কোম্পানি সে অনুযায়ী টিকা সরবরাহ করেছে কিনা।
যদি কোম্পিানিটি চুক্তি অনুযায়ী ইইউ রাষ্ট্রগুলোকে টিকা সরবরাহ করে না থাকে কিংবা সরবরাহ করতে দেরির কথা জানায়, তাহলে ইউরোপীয় কমিশন ইইউ-এর বাইরের দেশগুলোতে সেই কোম্পানির রপ্তানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করতে পারবে।
ইইউ এর সদস্যরাষ্ট্রগুলোর ৪৫ কোটি মানুষের জন্য ছয়টি টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানির সঙ্গে ২৩০ কোটি ডোজ টিকা কেনার আগাম চুক্তি করে রেখেছে। এ কোম্পানিগুলো হচ্ছে, ফাইজার/বায়োএনটেক, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, কিউরভ্যাক, জনসন এন্ড জনসন এবং সানোফি/গ্ল্যাক্সেস্মিথক্লাইন।
ইইউ এর স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিশনার শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপের লক্ষ্য হচ্ছে- ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ইইউ এর আগাম সব টিকা ক্রয় চুক্তি সুরক্ষিত রাখা, ইইউ’র সদস্যদেশগুলোর নাগরিকদের জন্য টিকা সহজলভ্য করা এবং সব পক্ষের জন্যই নিয়ম মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা।