শুক্রবার সকালে নগরীর
বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও থানা ও সংলগ্ন খাজা রোড এলাকায় নির্বাচনী পোস্টার অপসারণ করেন
তিনি।
বহদ্দারহাটের বহদ্দার
বাড়ির বাসিন্দা রেজাউল নিজের পোস্টার নামিয়েই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেন।

সকালে নেতাকর্মীরা
নতুন মেয়রকে অভিনন্দন জানাতে এলে তাদের নিয়েই তিনি পোস্টার অপসারণের কাজে লেগে যান।
এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “পোস্টারের মাধ্যমে মানুষের ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করেছি।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে প্রচারণার স্বার্থে আমরাই এ পোস্টারগুলো লাগিয়েছি।
এখন নগরীর সৌন্দর্য ও নগরীর মানুষের স্বার্থেই আমাদের উচিত নিজেদের উদ্যোগে নেতাকর্মী-সমর্থকদের
নিয়ে এ পোস্টারগুলো নামিয়ে ফেলা।
“নাগরিক দায়িত্ব বোধ
থেকেই আমি এ কাজ করেছি। আমার শহর আমার অহংকার। এ ভাবনা মাথায় রেখে নগরীর সকল নাগরিকের
উচিত নিজের শহরের সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় সচেতন ভূমিকা রাখা।”
পোস্টার ছিঁড়ে যত্রতত্র
না ফেলার জন্যও অনুরোধ জানান রেজাউল।
তিনি বলেন, “দুই দিনের
মধ্যে নগরীর স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হবে। পোস্টারের কারণে যানবাহন চলাচলে সৃষ্ট
বাধা অপসারণ করতে হবে।”
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের
সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে নামিয়ে ফেলা নির্বাচনী পোস্টার ও ব্যানার যথাযথ
স্থানে অপসারণে বিশেষ উদ্যোগী হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রেজাউলের সাথে ছিলেন
সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী
লীগের সভাপতি কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের
নুর মোহাম্মদ নুরু, যুগ্ম আহ্বায়ক আইয়ুব খান, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি দেলোয়ার
হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ প্রমুখ।

এর আগে বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যায় সিসিসির পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তাদেরও তিনি
দ্রুততম সময়ে পোস্টার অপসারণের তাগাদা দেন।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার
পরদিন বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নগরীর পরিচ্ছন্নতা, মশা নিধন
এবং বেহাল সড়ক সংস্কারের ঘোষণা দেন রেজাউল।
ভোট উপলক্ষে বন্দর
নগরীর প্রধান সব সড়ক এবং পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে যায়। সিসিসির
পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দও পোস্টার অপসারণ করছে।