দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তির পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই এ কৃষকরা যোগ দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কর্তৃপক্ষ দিল্লির পূর্ব অংশের একটি স্থান থেকে কৃষকদের তুলে দিতে চাইলেও সফল হতে পারেনি। আন্দোলনরত কৃষকরা জানিয়েছেন, তারা এক পা’ও পিছু হটবেন না।
ভারতী কিষাণ ইউনিয়নের (বিকেইউ) এক শীর্ষ নেতা বলেছেন, পিছু হটা মানেই আত্মসমর্পণ করা।
“পুলিশি দমনপীড়ন নিয়ে উদ্বেগ থেকে কয়েক হাজার কৃষক, যারা এ আন্দোলনে ছিলেন না, তারা শক্তি বাড়াতে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন,” শুক্রবার রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন বিকেইউ নেতা রাকেশ তিকায়েত।
উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রভাবশালী জাঠ সম্প্রদায়ের সদস্যরাও শুক্রবার কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই গাজিপুর থেকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছিল উত্তর প্রদেশের প্রশাসন। গাজিপুর ছাড়াও দিল্লির সীমানায় সিংঘু এবং টিকরির বিক্ষোভস্থলে প্রচুর পুলিশও মোতায়েন করা হয়।
গাজিপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয় পানি সরবরাহ। কৃষকদের তুলে দিতে হাজির ছিল বিজেপি নেতাকর্মীরাও।
“গাজিপুর থেকে আমাদের তুলে দিতে হাজির হয়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। প্রচুর পুলিশ এসেছিল। আমাদের এখান থেকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা হয়,” বলেছেন আন্দোলনরত এক কৃষক।
পরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে রাকেশ বলেন, “বিজেপি-র ৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এখানে রয়েছেন। তাদের বিধায়কেরাও রয়েছেন। কৃষকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।”
বিজেপিশাসিত রাজ্য হরিয়ানা থেকেও আন্দোলনকারীদের সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে মনোহরলাল খট্টর প্রশাসন। রাজ্যটির কার্নালে দিল্লির আন্দোলনকারীদের সমর্থনে দুই মাস ধরে বিক্ষোভ-সমাবেশ চলছে। ওই আন্দোলনকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জায়গা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিতর্কিত ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের মতোই অনড় দেশটির বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতারাও।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-র এক সময়কার শরিক শিবসেনাসহ ১৬টি রাজনৈতিক দল কৃষকদের সমর্থনে সংসদে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ বয়কট করা হবে বলে জানিয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এক টুইটে বলেছেন, “পক্ষ বেছে নেওয়ার সময় এসেছে। আমার সিদ্ধান্তও স্পষ্ট। আমি গণতন্ত্রের পক্ষে। আমি কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষে।”
সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) তেজস্বী যাদবও কৃষকদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন ।