ক্যাটাগরি

রূপপুরের বিদেশি কর্মীদের জন্য আসছে রাশিয়ার টিকা

পাবনার রূপপুর
পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেনের নাগরিকদের ব্যবহারের
জন্য এই টিকা আনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার
এই অনাপত্তি দেওয়া হয় বলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর
রহমান জানিয়েছেন।

তিনি শুক্রবার
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
রাশিয়ান স্ট্যাট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন বা রোসাটম এই টিকা আনার জন্য আবেদন করে।

“ওই খানে
যারা কাজ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের জন্য টিকা আনার অনুমোদন চেয়েছিল। তারা আমাদের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনুমোদন চেয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হয়ে আবেদনটি
আমাদের কাছে এসেছে। সেজন্য শর্তসাপেক্ষে টিকা আমদানির অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে।”

শর্তে বলা
হয়েছে, এই টিকা শুধু রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেনের
নাগরিকদের ওপর প্রয়োগ করা যাবে এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার দায়িত্ব
রোসাটমকে বহন করতে হবে।

গত অগাস্টে
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়া তাদের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহারের অনুমতি দেয়।

মস্কোর গামালিয়া
ইনস্টিটিউটের তৈরি করা ওই টিকার নাম দেওয়া হয় স্নায়ুযুদ্ধকালে যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা
দিয়ে রাশিয়ার তৈরি করা মহাকাশ যান স্পুৎনিক-১ এর নামে।

কোভিড-১৯: রাশিয়ায় টিকা দেওয়া শুরু
 

মানুষের ওপর
দুই মাসেরও কম সময় পরীক্ষা চালানোর পর চূড়ান্ত পরীক্ষার আগেই ওই টিকার অনুমোদন দেওয়া
নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

পরে গত ৫
ডিসেম্বর থেকে রাশিয়া এই টিকা দেওয়া শুরু করে, যদিও এর তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল
এখনও চলছে।

অপরদিকে তৃতীয়
ধাপের ট্রায়াল পেরিয়ে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করা করোনাভাইরাসের টিকা
আনছে বাংলাদেশ। এই টিকা এরইমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে।

ভারতের সেরাম
ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের ওই টিকার ৭০ লাখ ডোজ এরইমধ্যে বাংলাদেশে চলে এসেছে।
গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বহু প্রত্যাশার করোনাভাইরাসের
টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন।

ওই দিন করোনাভাইরাস
মোকাবেলার সম্মুখযোদ্ধা ২৬ জনকে টিকা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার আরও ৫৪১ জনকে দেওয়া হয়।

টিকার কোনো
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কি না, তা দেখতে ওই ৫৬৭ জনের ওপর সপ্তাহখানেক নজর রাখা
হবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে গণ টিকাদান শুরু হবে।