শুক্রবার
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত জানানো
হয়।
সেখানে বলা
হয়, “শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। ছুটি চলাকালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।”
বাংলাদেশে করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা ছিল।
মহামারীর প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় এবং এ বছরের এসএসসি
পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির কথা বিবেচনা করে গত
২৩ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
অধিদপ্তর (মাউশি) স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে মাধ্যমিক
স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার প্রস্তুতি নিতে বলেছিল।
গতবছরের এইচএসসি
পরীক্ষা সম্ভব না হওয়ায় সংসদে আইন সংশোধনের সময় গত ২৪ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি সংসদে বলেছিলেন, শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান খোলার পর প্রাথমিকভাবে দশম
ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস হবে। বাকিরা সপ্তাহে এক দিন করে
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস করবে।
কিন্তু সরকারের
নতুন সিদ্ধান্তের ফলে স্কুল খোলার সবুজ সংকেত পেতে অন্তত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে হবে এখন।
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে গতবছর পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া যায়নি।
আর অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে শনিবার।
পুরনো খবর
দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়মিত ক্লাস, বাকিদের সপ্তাহে ১ দিন
স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত