ঢাকার মহানগর হাকিম
মইনুল ইসলাম শনিবার শুনানি শেষে তার রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত শুক্রবার ঝালকাঠি
থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা
গুলশান থানার এসআই বেলাল হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহিদ হোসাইন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের
শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ২৭ জানুয়ারি বিকেলে
অফিস শেষে মোটরসাইকেলে খিলক্ষেত নিকুঞ্জের বাসায় যাচ্ছিলেন গোপাল সূত্রধর। যমুনা ফিউচার
পার্কের সামনে পৌঁছালে উত্তরাগামী ভিক্টর ক্লাসিকের একটি বাস পেছন থেকে তাকে ধাক্কা
দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বারিধারা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে পঙ্গু
হাসপাতালে স্থানান্তর করার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই দুলাল সূত্রধর সড়ক
পরিবহন আইনে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন
আইনের ১০৫ ধারায় বলা হযেছে, কোনো ব্যক্তির
বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে
আহত হলে বা তার প্রাণহানি ঘটলে, তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক ০৫ (পাঁচ)
লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ধারাটি জামিন অযোগ্য।
আর এ আইনের ৯৮ ধারায়
বলা হযেছে, নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে বা বেপরোয়াভাবে বা ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং
বা ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালনার ফলে কোনো দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির
ক্ষতি সাধিত হয়, তাহা হলে সংশ্লিষ্ট মোটরযানের চালক বা কন্ডাক্টর বা সহায়তাকারী ব্যক্তির
অনুরূপ মোটরযান চালনা হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড,
বা অনধিক ০৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং আদালত অর্থদণ্ডের
সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদানের নির্দেশ দিতে পারবেন।