ক্যাটাগরি

গণ-টিকাদানে বাংলাদেশ ২৩তম: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে বিশেষ অবহিতকরণ সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন এখন বড় অস্ত্র।

“থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সিংগাপুরসহ ইউরোপের অনেক রাষ্ট্রই ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে পারেনি। আগামী দুই-তিন মাসেও পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে গণপ্রয়োগ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৩ নম্বর দেশ হিসেবে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এই ভ্যাকসিন আনার পেছনে গত ছয় মাস ধরে লেগে থাকতে হয়েছে। যে সব প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন তৈরি করছে সবাইকে বাংলাদেশে চিঠি দিয়েছে।

“সবার সাথে ভিডিও কনফারেন্স করেছি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অন্যতম সেরা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক। পৃথিবীর ৬০ ভাগ ভ্যাকসিন এ ইনস্টিটিউটে তৈরি হয়। সেখান থেকে আমরা এ ভ্যাকসিনটি আনার ব্যবস্থা করেছি।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিন আসার আগ মুহূর্তে সব দেশের চাপ পড়েছে। আমরা আগে আগে বুকিং দিয়েছি, আগে আগে টাকা পাঠিয়েছি, নেগোশিয়েট করেছি। অন্যেরা এখন চাপ সৃষ্টি করছে।

“আমরা তিন কোটি ভ্যাকসিনের টাকা অলরেডি দিয়ে দিয়েছি। ২০ লাখ ভ্যাকসিন ভারত সরকার বাংলাদেশের মানুষকে উপহার হিসেবে দিয়েছে। আমাদের কাছে এ মূহূর্তে ৭০ লাখ ভ্যাকসিন আছে।”

ডব্লিউএইচও-তে বাংলাদেশের সাড়ে ছয় কোটি ভ্যাকসিনের অর্ডার দেওয়া আছে জানিয়ে তিনি বলেন, যখন পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন থাকবে তখন তারা আমাদের সরবরাহ করবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার একটি পদ্ধতি অনসুরণ করা হবে। সম্মুখ সারির লোকজনকে আগে এ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তারপরে পর্যায়ক্রমে যারা বয়সে সিনিয়র তাদের দেওয়া হবে।

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে সমালোচনার জবাবে মন্ত্রী বলেন, যে কোনো কাজ করতে গেলে কিছু সামলোচক থাকেই। ভ্যাকসিনের বিষয়ে বিরূপ প্রচার-প্রচারণা আছে।

“প্রতিটি ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। তাই বলে কি ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি? ভ্যাকসিনের ওষুধে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না এ কথা আমি বলব না। ভ্যাকসিন দিলে পরে জ্বর হতে পারে, এটা স্বাভাবিক, মাথা ব্যাথা হতে পারে, জায়গা একটু ফুলে যেতে পারে।”

এখন পর্যন্ত  যত জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে সবাই ভালো আছেন জানিয়ে তিনি যোগ করেন, “যারা যারা এ ভ্যাকসিন দিচ্ছে যেমন ইউরোপে, ভারতে সব জায়গাই আমরা খোঁজ খবর নিয়েছি তারা সবাই ভালো আছে।”

এ অবহিতকরণ সভায় ডিসি এসএম ফেরদৌস, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, পৌর মেয়র রমজান আলী, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।