ক্যাটাগরি

এইচএসসি: চট্টগ্রামে জিপিএ-৫ বাড়ল ৪ গুণ

জেএসসি
ও এসএসসির ফলের গড়ের ভিত্তিতে ফলাফল নির্ধারণ হওয়ায় এবং ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ এর
কারণে ফলাফলে এমন উলম্ফন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

করোনাভাইরাস
সংক্রমণের কারণে পরীক্ষা না হওয়ায় শতভাগ উত্তীর্ণের এই ফলে চট্টগ্রামে জিপিএ-৫
পেয়েছে ১২ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থী। যাদের মধ্যে ছাত্রী ৬ হাজার ৩৯৬ জন এবং ছাত্র ৫
হাজার ৭৪৭ জন।

২০১৯
সালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ২ হাজার ৮৬০ জন, ২০১৮ সালে ১ হাজার ৬১৩ জন, ২০১৭ সালে
১ হাজার ৩৯১ জন এবং ২০১৬ সালে ২ হাজার ২৫৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

সে
হিসেবে গত চার বছরে জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীদের চেয়েও এবারে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর
সংখ্যা বেশি। ২০১৯ সালের সাথে তুলনা করলে এই সংখ্যা চার গুণেরও বেশি।

২০১৮
সালের এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮ হাজার ৯৪ জন
পরীক্ষার্থী। ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় তাদেরই অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে মহামারীর
কারণে পরীক্ষা বদলে ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হয়।


বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ দেবনাথ
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বাভাবিক নিয়মে পরীক্ষা হলে এরকম ফলাফল আসত
না। কারও হয়ত জেএসসিতে কম বা কারও এসএসসিতে গ্রেড পয়েন্ট কম ছিল। কিন্তু গড় করার
পর জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর একটি বিষয় ছিল সাবজেক্ট ম্যাপিং, এর কারণেও জিপিএ-৫
বেড়েছে।”

‘সাবজেক্ট
ম্যাপিং’র বিষয়টি অত্যন্ত জটিল উল্লেখ করে নারায়ণ দেবনাথ বলেন, “এটা এক কথায় বোঝানো
যাবে না। অনেকে এসএসসির পর বিভাগ পরিবর্তন করে বিজ্ঞান থেকে মানবিকে বা ব্যবসায়
শিক্ষায় গিয়েছে। কেউ এসেছে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে, কেউ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে।

“বিভাগ
বদলের কারণে বিজ্ঞানের একটি বিষয়ের সাথে হয়ত মানবিকের বা ব্যবসায় শিক্ষার একটি
বিষয়ের তুলনা করে সাবজেক্ট ম্যাপিং করতে হয়েছে। একারণে ফল ভালো হয়েছে।”

এবার
প্রকাশিত ফলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৪৩ জন জিপিএ-৫
পেয়েছে। যাদের মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৯৩ জন এবং ছাত্রী ৪ হাজার ৯৫০ জন।

ব্যবসায়
শিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৫৭৫ জন। যাদের মধ্যে ছাত্রী ১ হাজার ১২৩ জন এবং
ছাত্র ৪৫২ জন।

মানবিক
বিভাগে সবচেয়ে কম ৫২৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। যাদের মধ্যে ছাত্রী ৩২৩ জন এবং ছাত্র ২০২
জন।

২০১৯
সালে বিজ্ঞানে ২ হাজার ২৫৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল
১২৯ জন। মানবিক বিভাগে ৪৭৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

২০১৮
সালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ১ হাজার ১৮৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ব্যবসায় শিক্ষায়
জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭৩ জন। মানবিক বিভাগে ৩৫৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক নারায়ণ দেবনাথ বলেন, “হয়ত উচ্চ মাধ্যমিকে অনেকে কম পড়ে বা ভালো
প্রস্তুতির অভাবে ফলাফল এসএসসির তুলনায় খারাপ হয়। যারা এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে তারা
যেন ভালোভাবে পড়ালেখা করে এই ফলাফলের ধারাবাহিকতা পরবর্তী শিক্ষা জীবনে ধরে রাখতে
পারে সেই আহ্বান জানাব।”