শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৩ রোগী শনাক্তের কথা জানায়।
এক দিনে এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ২৫ এপ্রিল; সেদিন ৩০৯ জন রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয়েছিল।
নতুন ৩৬৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৭৭০ জন হয়েছে।
গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৮ হাজার ১১১ জনের মৃত্যু হল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩৩৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৭ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ; তারপর রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়তে থাকে। গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বাধিক শনাক্ত।
রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর প্রতিদিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় নিম্ন গতি দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার ৪৫৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। একদিনের ব্যবধানে তা আরও কমল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়লেও রোগী শনাক্তের হার ১৯ শতাংশ কমেছে। মৃত্যুর হারও কমেছে ১০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২০৪টি ল্যাবে ১২ হাজার ৮৪টি নমুনা পরীক্ষা হয় বলে জানানো হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষিত নমুনার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৭টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
দেশে প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২৩ জানুয়ারি তা ৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনে সর্বাধিক মৃত্যু।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকায় বিশ্বে শনাক্ত রোগীর দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ আর নারী ৭ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে ১২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৭ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন করে মোট ৪ জন রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ১১১ জনের মধ্যে ৬ হাজার ১৪৩ জনই পুরুষ, বাকি ১ হাজার ৯৬৮ জন নারী।
মৃতদের মধ্যে ৪ হাজার ৪৮৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৩০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯২৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪০৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৪ হাজার ৫১৪ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪৯৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৬২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫০ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৪ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৩ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৬ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।