শুরুতে টিকা দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। তারপর সম্মুখসারির যোদ্ধা এবং প্রাধিকারের তালিকা অনুযায়ী টিকাদান শুরু হবে। যারা টিকা দেবেন এবং স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে থাকবেন, অনেক জেলায় রোববার থেকে তাদের প্রশিক্ষণও শুরু হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, শুক্রবার পর্যন্ত দেশের ৩৬টি জেলায় করোনাভাইরাসের টিকা পৌঁছে গেছে।
শনিবার গুলশানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। ওইদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও টিকা নেবেন। সারাদেশে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম একই সময়ে উদ্বোধন হবে।”
খুরশীদ আলম জানান, সেদিন ঢাকার একটি হাসপাতালে টিকাদান শুরুর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
“সেদিন ফ্রন্টলাইনারদের সঙ্গে দেশের গণমান্য ব্যক্তিরাও টিকা নেবেন। ওইদিন আমার অধিদপ্তরের দেড়শ জনকে টিকা দেওয়া হবে। আমরা আশা করছি, ডিজি অফিসের সবাই ওইদিন সেখানে টিকা নেব।”
এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, “ঢাকায় আপাতত কম-বেশি ৪৩টি জায়গায় করোনাভাইরাসের টিকা আমরা দিব। আর আমাদের এখানে টিম কাজ করবে ৩৫৪টা। এটা কমবেশি হতে পারে। আপাতত এই হচ্ছে আমাদের প্ল্যান।”
মহাপরিচালক জানান, সব মিলিয়ে সারাদেশে ৬ হাজার ৬৯০টি টিম কাজ করবে। কিন্তু এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে না। ইউনিয়ন পর্যায়ে কেন্দ্র হবে ৪ হাজার ৬০০টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “মানুষকে অভয় দিন, গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করুন, লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করুন, তারা যেন টিকা নিতে আসে, রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকা দেওয়া হবে না। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকা দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে, এ কারণে কষ্ট করে হলেও যেন রেজিস্ট্রেশন করে।
“প্রতিটি কেন্দ্রে আমাদের লোকজন থাকবে। কেউ যদি রেজিস্ট্রেশন করতে ফেইল করে, তাহলে আমাদের লোকজন তাকে সাহায্য করবে।”
শনিবার পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ১১ হাজার মানুষ সুরক্ষা ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। ইতোমধ্যে সরকারের কেনা ৫০ লাখ ডোজ এবং উপহার হিসেবে ভারতের পাঠানো ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। আগামী পাঁচ মাসে আরও আড়াই কোটি ডোজ দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে গত বুধবার বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় বাংলাদেশে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং প্রথম পাঁচজনকে টিকা দেওয়া দেখেন। প্রথম দিন সব মিলিয়ে মোট ২৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন ঢাকার পাঁচ হাসপাতালে টিকা দেওয়া হয় ৫৪১ জনকে।
ঢাকা থেকে জেলায় জেলায় টিকা পৌঁছে দিচ্ছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, সেরাম ইন্সটিটিউটের ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে তারাই টিকা দেশে নিয়ে এসেছে।
জেলা পর্যায়ে টিকা নির্ধারিত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির) স্টোরে। সেখান থেকে তা সরকারের ব্যবস্থাপনায় উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হবে।
আমাদের বিভাগ ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
রাজশাহী
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার জানান, এ বিভাগের আট জেলায় প্রথম ধাপে ৭ লাখ ২০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সব জেলায় টিকা পৌঁছেও গেছে। টিকা রাখা হয়েছে জেলা ইপিআই স্টোরে।
টিকা দেওয়ার জন্য জেলায় জেলায় কেন্দ্র ও বুথ তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বিভাগের আট জেলায় একসঙ্গে টিকাদান শুরুর প্রস্তুতি চলছে। তবে সব কেন্দ্র একসঙ্গে চালু করা হবে না। প্রথম পর্যায়ে জেলা শহরে ও দ্বিতীয় পর্যায়ে উপজেলায় দেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। যারা টিকা নেবেন তাদের তালিকা করা হয়েছে। এছাড়া যারা টিকা দেবেন আর স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে থাকবেন, তাদেরও তালিকা হয়েছে।
প্রতিটি কেন্দ্রে চারটি বুথে টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি বুথে দুইজন স্বাস্থ্য কর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবী থাকবেন। সেজন্য তাদের এক দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাউয়ুম তালুকদার জানান, তার জেলার জন্য ১৫ কার্টন এবং সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য চার কার্টন টিকা শুক্রবার তারা বুঝে পেয়েছেন। প্রতিটি কার্টনে ১২০০ ভায়াল থাকবে। একটি ভায়ালে ১০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।
সে হিসেবে রাজশাহীতে যা টিকা এ পর্যন্ত এসেছে, তা দিয়ে ২ লাখ ২৮ জনকে টিকা দেওয়া যাবে বলে সিভিল সার্জন জানান।
তিনি বলেন, রাজশাহী নগরে চারটি কেন্দ্রে ১৬টি বুথে টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হলো, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিটি করপোরেশনের নগর ভবন, রাজশাহী পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল ও রাজশাহী সেনানিবাস হাসপাতাল।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, তাদের কেন্দ্রে চারটি বুথে টিকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। টিকা প্রয়োগের পর পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সেজন্য রাজশাহী সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালেও প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। সেজন্য রাজশাহীর মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল
একটি ফ্রিজার ভ্যানে করে শুক্রবার ১ লাখ ৬৮ হাজার ডোজ টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বরিশালের সিভিল সার্জনের কাছে। টিকার কার্টনগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে ইপিআই স্টোরের ডব্লিউআইসিতে।
সেখানে ৪ লাখ টিকার ভায়াল সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা রয়েছে বলে সিভিল সার্জন মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন। এছাড়া ৯টি আইএলআর (আইস লাইনড রেফ্রিজারেটর) রয়েছে, যার প্রতিটিতে ৭ হাজার ১০০ ভায়াল সংরক্ষণ করা যাবে।
তিনি জানান, আপাতত জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল ও শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা দেওয়া হবে। পরে অন্যান্য হাসপাতাল ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কার্যক্রম বাড়ানো হবে। জেনারেল হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম তদারকি করবে সিটি কর্পোরেশন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি করে এবং জেনারেল হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪টি করে টিম টিকাদানে নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি টিমে দুজন ভ্যাকসিনেটর এবং চারজন ভলান্টিয়ার থাকবেন। রোববার থেকে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
“সবাইকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব নয়। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দুজন কর্মকর্তা ঢাকা থেকে ‘টর্ট ট্রেইনিং’ নিয়েছেন। তারাই কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন।”
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার জন্য প্রথম পর্যায়ে ৫ লাখ ৪ হাজার ডোজ টিকা পৌঁছেছে শুক্রবার। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার জন্য ২৭ কার্টুনে ৩ লাখ ২৪ হাজার ডোজ টিকা বুঝে নিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. এবিএম মসিউল আলম। টিকাগুলো ইপিআইয়ের তাপ নিয়ন্ত্রিত সংরক্ষণাগারে রাখা হয়েছে।
এছাড়া শেরপুর জেলায় তিন কার্টনে ৩৬ হাজার, নেত্রকোণা ও জামালপুরে ছয় কার্টনে ৭২ হাজার ডোজ করে টিকা সরবরাহ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন এবিএম মসিউল আলম বলেন, ময়মনসিংহ জেল ইপিআই স্টোরে একসঙ্গে ৬ লাখ টিকা রাখার মত ব্যবস্থা আছে।
ময়মনসিংহ নগরীতে আটটি কেন্দ্রে টিকা প্রয়োগ করা হবে। আর প্রতি উপজেলায় হবে দুটি করে কেন্দ্র। প্রতি কেন্দ্রে ২ জন নার্স এবং চারজন ভলান্টিয়ার থাকবেন। তার আগে তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন, প্রথম দফায় ৩৮টি কার্টনে মোট চার লাখ ৫৬ হাজার ডোজ টিকা রোববার তাদের হাতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেগুলো রাখা হবে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির) স্টোরে।
নগরীতে সিটি করপোরেশন এবং উপজেলাগুলোতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। ৭ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে টিকাদান শুরুর জন্য ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি টিকার বাক্স সিটি করপোরেশন নির্ধারিত কেন্দ্র এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পাঠানো হবে।
সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিটিতে দুটি করে আইস লাইনড রিফ্রিজারেটর (আইএলআর) আছে, যেখানে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হবে। ভ্যাকসিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে শনিবার থেকে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় নয়টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। এগুলো হল- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসেস (বিআইটিআইডি), সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, পুলিশ লাইনস হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন, সাফা মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতাল ও বন্দরটিলা মাতৃসদন হাসপাতাল।
এর মধ্যে সবার আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকাদান শুরু হবে। পরে অন্যগুলোতে দেওয়া হবে বলে সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী জানান।
সিলেট
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় সাড়ে ১০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। প্রথম ধাপে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পৌঁছাবে রোববার।
এর মধ্যে মৌলভীবাজারে ৬০ হাজার, হবিগঞ্জে ৭২ হাজার, সুনামগঞ্জে ৮৪ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন যাবে। বাকি ২ লাখ ২৮ হাজার ডোজ টিকা থাকবে সিলেট জেলার জন্য।
টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সিলেট জেলা ও মহানগর এলাকার জন্য দুটি কমিটিও করা হয়েছে। নগর এলাকায় ২২ সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং সদস্য সচিব সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
জেলা পর্যায়ের ৮ সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ৪টি এবং সদর হাসপাতালে ৮টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। টিকাদান পরবর্তী পর্যবেক্ষণের জন্য ৭ সদস্যের মেডিকেল টিম থাকবে।
সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, ভ্যাকসিন রাখার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্প্রসারিত টিকাদান প্রোগ্রাম (ইপিআই) ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অন্যান্য জেলা
প্রথম দফায় ফরিদপুর জেলায় ৬০ হাজার ডোজ, মুন্সীগঞ্জে ৪ হাজার ৮০০ ডোজ, মেহেরপুরে ১২শ ডোজ, মাগুরায় ২৪ হাজার ডোজ, কুষ্টিয়ায় ৭২ হাজার ডোজ, ঝিনাইদহে ৬০ হাজার ডোজ, হবিগঞ্জে ৭২ হাজার ডোজ, চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ হাজার ডোজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ লাখ ৮ হাজার ডোজ, গোপালগঞ্জে ৩৬ হাজার ডোজ এবং পটুয়াখালীতে ৪৮ হাজার ডোজ এবং কুমিল্লায় ২ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ টিকা পৌঁছেছে বলে জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।