২০১২ সালে মিরপুরে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ দিয়ে টেস্ট আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হয়েছিল ইলিংওয়ার্থের। সাবেক এই ইংলিশ বাঁহাতি স্পিনার এবার থাকছেন নতুন এক অধ্যায়ের সূচনায়। কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে প্রথম নিরপেক্ষ আম্পায়ার হতে যাচ্ছেন তিনি।
কোভিড বিরতির পর গত বছরের মাঝামাঝি যখন ক্রিকেট শুরু হলো, তখন ভ্রমণ জটিলতা ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে আইসিসি টেস্টে নিরপেক্ষ আম্পায়ার রাখার বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়। এরপর থেকে স্বাগতিক আম্পায়াররাই দেশের টেস্ট পরিচালনা করে আসছিলেন। ইলিংওয়ার্থ নিজেও দাঁড়ান নিজ দেশ ইংল্যান্ডের চারটি টেস্টে।
কিন্তু বাংলাদেশের কোনো আম্পায়ার এলিট প্যানেলে নেই। এমনকি এলিট প্যানেলের পরের ধাপ ইমার্জিং প্যানেলেও শুরুর দিকে নেই এদেশের কোনো আম্পায়ার। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিয়ে তাই বিপাকে পড়ে আইসিসি ও বিসিবি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হচ্ছে একজনকে, আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে এখানকার আম্পায়াদের মধ্যে এগিয়ে থাকা শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। আর নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে রাখা হচ্ছে ইলিংওয়ার্থকে।
গত ১১ বছরে ৪৫ ওয়ানডে ও ৩১ টি-টোয়েন্টি পরিচালনা করা শরফুদ্দৌলার টেস্ট আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে। বাংলাদেশের পঞ্চম টেস্ট আম্পায়ার হতে যাচ্ছেন ৪৪ বছর বয়সী সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার।
২০০১ থেকে ২০০২ সাল সময়কালে দুটি টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করেন বাংলাদেশের এএফএম আখতারউদ্দিন, একটি করে শওকাতুর রহমান ও মাহবুবুর রহমান। এরপর দুই প্রান্তেই নিরপেক্ষ আম্পায়ার বাধ্যতামূলক করা হলে বাংলাদেশের আম্পায়ারদের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়।
সবশেষ ২০১২ সালে নিউ জিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের একটি টেস্ট পরিচালনার সুযোগ পান সেই সময় ইমার্জিং প্যানেলে থাকা বাংলাদেশের আম্পায়ার এনামুল হক। এরপর আবার লম্বা খরা, যা কাটছে শরফুদ্দৌলাকে দিয়ে।
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ইতিহাস রচনা করতে যাচ্ছেন নিয়ামুর রশিদ। এই সিরিজে কোনো ম্যাচ রেফারি পাঠাচ্ছে না আইসিসি। ম্যাচ রেফারিদের এলিট প্যানেলে বাংলাদেশের কেউ না থাকলেও এই সিরিজে সুযোগ পাচ্ছেন নিয়ামুর। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ রেফারি হচ্ছেন তিনিই। সাবেক এই অলরাউন্ডার এখনও পর্যন্ত ৯টি ওয়ানডেতে ছিলেন ম্যাচ রেফারি।