ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে তিন দিনের
প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় সকালে সাইফ ফেরেন ১৫ রান করে, সাদমান ২২।
শুধু দুই ওপেনারই নয়, দ্বিতীয় দিন সকালের
সেশনে বিসিবি একাদশ হারায় পরের দুই ব্যাটসম্যানকেও। ওয়ানডে ঘরানায় ব্যাট করে মোহাম্মদ
নাঈম শেখ করেন ৪৫। চূড়ান্ত টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার আশায় থাকা ইয়াসির আলি চৌধুরি
বিদায় নেন ১ রানেই।
দ্বিতীয় দিন লাঞ্চ বিরতিতে বিসিবি একাদশের
রান ৪ উইকেটে ১১৫। আগের দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছে ২৫৭ রানে।
চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার
দিনের প্রথম ওভারেই সাইফের আশায় চোট দেন কেমার রোচ। দিনের পঞ্চম বলে তীক্ষ্ণভাবে ভেতরে
ঢোকা এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে যান ডানহাতি ওপেনার। আগের দিনের ১৫ রানের সঙ্গে
আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি সাইফ।
শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে দারুণ এক ফ্লিকে চার
মেরে শুরু করলেও সাদমান বেশির ভাগ সময় ছিলেন গুটিয়ে। নাঈম নেমে স্বভাবসুলভ শট খেলতে
থাকেন। কয়েকটি চার পান তিনি ব্যাটের কানায় লেগে। আলজারি জোসেফ আক্রমণে আসার পর আলগা
কিছু বল পেয়ে কাজে লাগান দারুণভাবে।
অফ স্পিনার রাকিন কর্নওয়াল শুরু থেকেই ভোগান
সাদমান-নাঈমকে। উইকেট থেকে বাড়তি বাউন্স আদায় করে নেন তিনি, কয়েকটি বল টার্ন করে বেশ
তীক্ষ্ণভাবে। নাঈম দুটি চার মেরে চেষ্টা করেন তাকে চাপে ফেলার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত
লড়াইয়ে যেতেন কর্নওয়ালই। স্টাম্প সোজা বল কাট করতে গিয়ে এলোমেলো হয়ে যায় নাঈমের স্টাম্প।
৯ চারে তার রান ৪৮ বলে ৪৫।
বিসিবি একাদশের মিনি ধসের সূচনা ওই উইকেট
দিয়ে। দুই ঘণ্টার বেশি সময় উইকেটে থাকা সাদমান আউট হয়ে যান আলগা এক শটে। জোসেফের শর্ট
বল পুল করে ওপরেও খেলতে পারেননি, রাখতে পারেননি নিচেও। সরাসরি ক্যাচ শর্ট মিডউইকেটের
হাতে। ৮২ বলে তার রান ২২।
পরের ওভারেই কর্নওয়ালকে লম্বা পা বাড়িয়ে ডিফেন্স
করতে গিয়ে ফেঁসে যান ইয়াসির। বাড়তি বাউন্স করে বল ছোবল দেয় ব্যাটে, ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে
দারুণ রিফ্লেক্স ক্যাচ নেন কাভেম হজ।
শাহাদাত হোসেন ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান
লাঞ্চের আগে আর বিপদ হতে দেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২৫৭
বিসিবি একাদশ : ৩৪ ওভারে ১১৫/৪ (আগের দিন ২৪/০) (সাইফ
১৫, সাদমান ২২, নাঈম ৪৫, ইয়াসির ১, শাহাদাত ৮*, সোহান ৭*; রোচ ৭-৪-১৩-১, গ্যাব্রিয়েল
৮-২-৩০-০, কর্নওয়াল ১০-২-২৭-২, জোসেফ ৭-০-৩১-১, মেয়ার্স ২-০-৯-০)।