ওই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা
করা হয়েছিল বলে পুলিশ জানায়।
খুলশী থানা এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন কার্যালয়ের
সামনে বাটালি হিলের ইসলাম কলোনির একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নারীর নাম ফারজানা আক্তার বুলু (২৭)। তার স্বামী শরীফ
মিয়া (৩০) ও সতীন রিনা আক্তারকে (২৩) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) পরিত্রাণ তালুকদার
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে পুলিশ
লাশটি উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে
শরীফ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা মিলে ফারজানাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশের
গলায় ওড়না পেঁচিয়ে রান্না ঘরের চালের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রচারণা চালায়।”
এই ঘটনায় ফারজানার ভাই হত্যা মামলা করেছেন।
সেই মামলায় বলা হয়েছে, চার বছর আগে ফারজানা ও শরীফ প্রেম
করে বিয়ে করেন। কিন্তু বছর খানেক আগে শরীফ রিনাকে বিয়ে করে খুলশী থানার ওয়্যারলেস কলোনি
এলাকায় আলাদা বাসা ভাড়া করে।
এ মাসের মাঝামাঝিতে শরীফ তার দ্বিতীয় স্ত্রী রিনাকেও বাটালি
হিলের ইসলাম কলোনির বাসায় নিয়ে তুললে ফারজানার সঙ্গে তাদের ঝগড়া শুরু হয়। শুক্রবার
দুপুরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ফারজানাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর শরীফ ও রিনা মিলে গলায় ওড়না
পেঁচিয়ে লাশ রান্না ঘরের চালের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে বলে এজাহারে
অভিযোগ করা হয়েছে।
খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসাইন জানান, প্রাথমিক
জিজ্ঞাসাবাদে শরীফ মুখ না খুললেও রিনা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে।
তিনি বলেন, “রিনা জানিয়েছে, লাশ ঝুলিয়ে রেখে শরীফ আত্মহত্যার
প্রচারণা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শরীফ বাসার বাইরে গিয়ে ঘরের ভেতর থেকে
রিনাকে দরজা আটকে ঘুমের ভান ধরতে বলেন। কিছুক্ষণ পর পরিকল্পনা অনুযায়ী ফারজানা আত্মহত্যা
করেছে বলে চিৎকার শুরু করে রিনা। এসময় বাসার বাইরে চায়ের দোকানে বসে থাকা শরীফও বাসায়
এসে লাশ নিয়ে টানাটানি করে।”
পরিদর্শক আফতাব বলেন, বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় তারাই
শরীফ ও রিনাকে আটকে ফেলেন। এসময় তারা পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের পুলিশে দেন।
শরীফ ও রিনাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান
তিনি।