শনিবার দুপুর ১টায় এ ঘটনায় দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ জানিয়েছে।
আটকরা হলেন, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের মাঠপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কৃষি ব্যাংকের জুনিয়র আফিসার ইমরান আলী এবং পোলিং আফিসার পরিবার পরিকল্পনা আধিদপ্তরের অফিস সহকারী মজিবুর রহমান।
এসব তথ্য দিয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার বদরুদ্দৌজা ভূইয়া বলেন, ওই দুইজন ব্যালট পেপার রক্ষা করতে পারেনি।
“তাদের উপস্থিতিতেই নৌকার ব্যালটে সিল মারা হচ্ছিল। তারা প্রতিবাদ করেনি বা কাউকে ইনফরম করেনি। তাই তাদের প্রত্যাহার করে নতুন সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং আফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
বিষয়টি শোনার সাথে সাথে আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি প্রিজাইডিং অফিসারের বরাতে বলেন, এ রকম ১০টি ব্যালট ছিল। গণনার সময় এই ব্যালটগুলো বাদ দেওয়া হবে।
এ ঘটনায় কেন্দ্রটিতে কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকলেও পরে আবার ভোট গ্রহণ করা হয় বলেও জানান তিনি।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
মানিকপুরে হাত বোমা বিস্ফোরণ
এদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানিকপুর এলাকায় দু’টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
সে সময় নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব একজনকে ধরে পুলিশে দেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আটক যুবক এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের ধারণা, কোনো কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য এ বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।