কোভিড বিরতির আগে বাংলাদেশের শেষ ওয়ানডে সিরিজে রেকর্ডের মালা গেঁথে লিটন উপহার দিয়েছিলেন দুটি সেঞ্চুরি। বিরতির পর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও তিনি ছিলেন দারুণ ফর্মে। আসরের সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছিলেন ৪৯.১২ গড়ে ৪৯৩ রান করে। ক্যারিবিয়ানদের খবর্শক্তির দলের বিপক্ষেও তার কাছে প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু লিটন করতে পারেন কেবল তিন ম্যাচ মিলিয়ে ৩৬ রান।
এমন পারফরম্যান্সের পর হতাশা স্বাভাবিক। তবে লিটন চনমনে হয়ে উঠেছেন টেস্ট ক্রিকেটের আগমণী বার্তায়। ওয়ানডে সিরিজ আপাতত ভাবনায় নেই তার।
“অনেক দিন পর টেস্ট ক্রিকেট খেলছি এটাতে অনেক খুশি। টেস্ট ক্রিকেট তো পুরোপুরি অন্য রকম একটা জিনিস। দেশের হয়ে টেস্ট খেলার অনুভূতিই অন্য রকম। ওয়ানডে আমি ভালো করতে পারিনি, এটা সম্পূর্ণ আলাদা সংস্করণ। আমি চাচ্ছি না সেই বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে বা মনে করতে।”
“এখানে আমার নতুন ভূমিকা। চেষ্টা করব এখানে যে ভূমিকা, সেটা ভালোভাবে পালন করার। ওয়ানডের পর ৭-৮ দিনের বিরতির মধ্যে আছি। আমরা অনুশীলন করার চেষ্টা করছি। নিজের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা থাকবে, অনেক দিন পর লাল বলের খেলা।”
১১ মাস পর টেস্ট খেলাটা লিটন বা বাংলাদেশ দল, কারও জন্যই সহজ হওয়ার কথা নয়। তবে লিটন আত্মবিশ্বাসী নিজেকে ও দলকে নিয়ে। ভরসা পাচ্ছেন তিনি নিষেধাজ্ঞার পর সাকিব আল হাসানকে ফিরে পাওয়ায়ও।
“টেস্ট ক্রিকেটে অনেক দিন পর খেলতে নামছি আমরা। অবশ্যই কঠিন হবে। ওদের খুব ভালো পেস আক্রমণ আছে, স্পিনও আছে। ভালো ক্রিকেট খেলতে হলে, ভালো পারফরম্যান্স করার জন্য আমাদের অনেক সময় উইকেটে ব্যয় করতে হবে। পরিস্থিতিগুলো আমাদের সামলাতে হবে। সেটা বোলিং পাই, ব্যাটিং পাই, বড় বড় জুটি, বোলিংয়ে জুটি, ব্যাটিংয়ে জুটি হলে জিনিসগুলো আমাদের পক্ষে আসবে।”
“সাকিব ভাই সবসময় গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করেন ম্যাচে। উনি থাকলে আমাদের ব্যাটিং-বোলিং দুই দিক দিয়েই সহায়তা মেলে। আমরা সবাই আগ্রহী ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য এবং যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষুধা আছে প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের মধ্যে। আশা করি, ভালো কিছু হবে।”
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি চট্টগ্রামে শুরু বুধবার।