এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের পরদিন রোববার ইউজিসি
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক, স্নাতক পাস ও
সমমান কোর্সে ১৩ লাখ ২০ হাজারের মতো আসন রয়েছে।
এর মধ্যে ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজার ৯৫টি,
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩ হাজার ৬৭৫টি,
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৮১৫টি, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০
হাজার, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৭ হাজার ৭৫৬টি, দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪০টি
এবং মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে সাড়ে ১০ হাজারটি আসন রয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত সাত কলেজে
২৩ হাজার ৩৩০টি, চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭২০টি, ছয়টি টেক্সটাইল কলেজে ৭২০টি,
সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফরিতে ৫ হাজার ৬০০টি, ১৪টি মেরিন অ্যান্ড
অ্যারোনটিকাল কলেজে ৬৫৪টি এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৩ হাজার এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে
২৯০টি আসন রয়েছে বলে ইউজিসি জানিয়েছে।
২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৭
হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে।
এইচএসসির ফল প্রকাশ: সবাই পাস, জিপিএ-৫ দেড় লক্ষাধিক
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে পরীক্ষা না নিয়ে
শিক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসির ফলাফল মূল্যায়ন করে ২০২০ সালের এইচএসসিতে সবাইকে
পাস করানো হয়। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, “চলতি
বছর উচ্চশিক্ষায় ভর্তিতে আসনের ক্ষেত্রে কোনো সঙ্কট হবে না। প্রায় সব শিক্ষার্থী
উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবে।”
তিনি একইসঙ্গে বলেন, তবে পছন্দের শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান ও বিষয়ে ভর্তিতে তীব্র প্রতিযোগিতা হবে।
স্নাতকে ভর্তির প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নিতে শুরু
করেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২০টি সাধারণ ও বিজ্ঞান
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছয়টি কৃষি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে
ভর্তি পরীক্ষা হবে।
এই সপ্তাহে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলে জানান অধ্যাপক
আলমগীর।