শহরের কেন্দ্রস্থলে অসংখ্য দোকান ও রেস্তোরাঁ বন্ধ এবং মাটির ওপর দিয়ে চলাচল করা যানবাহনকে অন্যপথে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এসব সত্ত্বেও দেশটির অন্যান্য অংশে সরকারবিরোধীদের পরিকল্পিত কর্মসূচী শুরু হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে রাশিয়াজুড়ে নাভালনি সমর্থকদের বিক্ষোভ থেকে চার হাজারেরও বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছিল।
নার্ভ এজেন্ট ‘নোভিচক’ দিয়ে হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর জার্মানিতে কয়েক মাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেই আটক হন নাভালনি। স্থগিত এক দণ্ডের নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে ১৭ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, সেদিনই তিনি বার্লিন থেকে রাশিয়ায় ফিরেছিলেন।
রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, অর্থ আত্মসাতের এক মামলার স্থগিত দণ্ড চলাকালে নাভালনির নিয়মিত পুলিশের কাছে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল।
জার্মানি থেকে রাশিয়ায় ফিরে গ্রেপ্তার হওয়া নাভালনি তার ৩০ দিনের আটকাদেশকে ‘পুরোপুরি অবৈধ’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি যে জার্মানিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন, কর্তৃপক্ষ তা জানতো বলেও ভাষ্য তার।
আটক হওয়ার পর সমর্থকদের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানোরও ডাক দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত এ রাজনীতিক। তারই ধারাবাহিকতা গত সপ্তাহে একাধিক সমাবেশ হয়েছে রাশিয়াজুড়ে।
জমায়েত হওয়ার ব্যাপারে পুলিশের সতর্কতা জারি এবং তামপাত্রা মাইনাস ৫২ সেলসিয়াসে নেমে গেলেও ইতোমধ্যে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের শহরগুলোতে নাভালনির সমর্থনে সমাবেশ শুরু হয়েছে। পুলিশ আড়াইশ জনেরও বেশি লোককে আটক করেছে বলে প্রতিবাদ পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী ওভিডি-ইনফো জানিয়েছে।
মস্কোতে আরও পরে সমাবেশ শুরু হবে বলে জানা গেছে।
গত সপ্তাহ থেকে নাভালনির ঘনিষ্ঠ অনেককে আটক করা হয়েছে। তার ভাই, নারীবাদী গোষ্ঠী পুসি রায়টের সদস্য মারিয়া আলিয়োখিনাসহ অনেককে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে।
মানবাধিকার বিষয়ক একটি রুশ ওয়েবসাইটের প্রধান সম্পাদক সের্গেই স্মিরনভকেও শনিবার তার বাড়ির বাইরে থেকে আটক করা হয়েছে। গত সপ্তাহে বিক্ষাভে অংশ নেওয়ার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক স্মিরনভকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, নাভালনি সমর্থকদের ভিড়ে মস্কোর জেলখানা উপচে পড়ায় পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রোববার আরও বিক্ষোভের আশঙ্কায় মস্কোর সাতটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ এবং শহরের কেন্দ্রস্থলে পথচারীদের সংখ্যা সীমিত রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে অন্য একটি সংবাদমাধ্যম।
সরকারবিরোধী রাজনীতিক নাভালনির ভাষ্য, পুতিনের নির্দেশেই রাশিয়ার গোয়েন্দারা তাকে ‘নোভিচক’ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল। বেলিংক্যাট ওয়েবসাইটের অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা নাভালনিকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন কয়েকজন এফএসবি সদস্যের নামও প্রকাশ করেছিল।
এফএসবি হচ্ছে রুশ নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের সংক্ষিপ্ত নাম।
রাশিয়া অবশ্য শুরু থেকেই নাভালনিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে; পুতিনবিরোধী এ রাজনীতিকের উপর ‘নোভিচক’ ব্যবহার করা হয়েছে, পশ্চিমা অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের এমন ধারণা উড়িয়ে দিয়েছে তারা।
Protesting on ice. In Vladivostok they’re shouting ‘My Russia is in prison!’
Numbers today may well be lower: the risk of protesting is v high-from probs at work/college or a few days’ detention to full-on criminal prosecution. But the protest mood is clearly growing here. https://t.co/kjlcfdBCp4
— Sarah Rainsford (@sarahrainsford) January 31, 2021