প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার ৩-২ গোলে হারে পিএসজি। গত ডিসেম্বরে অলিম্পিক লিওঁর কাছে হারের পর লিগে এই প্রথম হারল দলটি।
প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণে পিএসজি আধিপত্য করলেও আক্রমণে এগিয়ে ছিল লরিয়ঁ। গোলের উদ্দেশে নেওয়া পাঁচ শটের একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে সফরকারীরা। ১০ শটের ৩টি লরিয়ঁ।
লিগে টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত থাকা পিএসজির রক্ষণে চাপ দিতে থাকা লরিয়ঁ এগিয়ে যায় ৩৬তম মিনিটে। ডি-বক্সে জটলার ভেতর থেকে বুদ্ধিদ্বীপ্ত শটে লক্ষ্যভেদ করেন লরাঁ আবেরগেল।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে নেইমারের প্রথম স্পট কিকে স্বস্তি ফিরে পিএসজির তাবুতে। ডি-বক্সে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড ফাউলের শিকার হলে স্পট কিকের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
আগের ম্যাচে মোঁপেলিয়ের জালে তিন মিনিটে তিন গোলের উৎসব করা পিএসজি প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে এগিয়ে যেতে পারত। কিন্তু মাউরো ইকার্দি ও নেইমারের শট যায় পোস্টের বাইরে।
৫৮তম মিনিটে দ্বিতীয় স্পট কিক থেকে পিএসজিকে এগিয়ে নেন নেইমার। ডি-বক্সে ইকার্দি ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় তারা। প্রথম পেনাল্টিতেও ফাউল করেছিলেন মেঁদেস।
কিছুটা গুছিয়ে ওঠা পিএসজি ৭২তম মিনিটে পেয়েছিল ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ। কিন্তু নেইমারের ক্রসে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ইকার্দির হেড দারুণ দক্ষতায় ফেরার লরিয়ঁ গোলরক্ষক।
৮০তম মিনিটে ছয় গজ বক্সের ভেতর থেকে লরিয়ঁকে সমতার ফেরান ইয়োনে। আর দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আবেরগেলের লং পাস ধরে তেরেম মোফির শট জাল খুঁজে পেলে জয় নিশ্চিত হয় লরিয়েঁর।
লিগে পঞ্চম হারের তেতো স্বাদ পাওয়া পিএসজি ২২ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে। পঞ্চম জয় পাওয়া লরিয়ঁ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে অষ্টাদশ স্থানে।