রোববার স্থানীয় সরকার
বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এবং ঢাকার চারপাশের নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ
এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য নেওয়া মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত পর্যালোচনা
সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সভায় মেঘনা নদী দখলমুক্ত,
দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করা
হয়।
মন্ত্রী তাজুল বলেন,
ঢাকার চারপাশে নদ-নদী এবং খালের ওপর ১৩টি সেতু চিহ্নিত করা হয়েছে।
“নৌ যোগাযোগ স্বাভাবিক
রাখতে এসব ব্রিজের উচ্চতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। তাই এইসব ব্রিজ সংস্কার বা ভেঙে
ফেলে নতুন ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
জানান, ১৩টি সেতুর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ছয়টি, সড়ক ও সেতু বিভাগের
ছয়টি এবং রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি সেতু রয়েছে।
ঢাকার আশপাশের নদীগুলোকে
দূষণমুক্ত রাখতে নদী তীরবর্তী দুই হাজারের বেশি শিল্প কারখানা চিহ্নিত করে বর্জ্য শোধনাগার
স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
“এরমধ্যে ১৪শ শিল্প
কারখানায় ইটিপি স্থাপন করা হয়েছে। যেগুলোতে ইটিপি নেই, সেগুলোতে অভিযান চালিয়ে জরিমানা
করা হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
জাহিদ ফারুক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের
মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ
অন্যান্য কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।