রোববার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
পাঁচ বছরের মেয়াদে তৃতীয়বারের মতো চাংয়ের নির্বাচিত হওয়ার এ ঘটনাকে ‘বিরল’ বলে অভিহিত করেছে রয়টার্স। এর মাধ্যমে ৭৬ বছর বয়সী চাং কয়েক দশক ধরে দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করলেন বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাটি।
এর আগে ২০১৬-র কংগ্রেসে ফের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরের পাঁচ বছর কঠোর দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেন তিনি। ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন পার্টির নীতিতে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী লোকদের অবসর নেওয়ার কথা বলা হলেও চাংয়ের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
“১৩তম মেয়াদে ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন কমরেড গুয়েন ফু চাং,” বলা হয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে।
রাজধানী হ্যানয়ে পার্টির পঞ্চবার্ষিক কংগ্রেসে চাংকে দলের জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত করা হয়। এখানে আট দিনব্যাপী বৈঠকে সারা ভিয়েতনাম থেকে আসা এক হাজার ৬০০ প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন। অধিকাংশ বৈঠকই রুদ্ধদ্বারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভিয়েতনামের চলতি অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নতুন নেতাদের বেছে নেওয়া হচ্ছে এই কংগ্রেসের মাধ্যমে।
ভিয়েতনামে প্রধান কোনো শাসক নেই, সরকারিভাবে চার ‘স্তম্ভ’ দেশকে নেতৃত্ব দেন। এরা হচ্ছেন ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি, একজন প্রেসিডেন্ট, একজন প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের চেয়ারপারসন। এগুলোর মধ্যে কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারির পদটি সবচেয়ে ক্ষমতাধর।
চাং ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো পার্টির প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারপর ২০১৬ সালে পরবর্তী কংগ্রেসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুয়েন তাৎ জুংয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও ফের দলের প্রধান হন তিনি। ধারাবাহিকভাবে শীর্ষ পদে থাকা চাং ক্ষমতার একটি ভিত্তি গড়ে তুলেছেন বলে মত পর্যবেক্ষকদের।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার অভিযানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করেছেন সরকারের সমালোচকরা। ওই অভিযানে কমিউনিস্ট পার্টির একজন পলিটব্যুরো সদস্যসহ বহু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পদ হারিয়ে দীর্ঘ মেয়াদি কারাদণ্ড বরণ করে নিতে বাধ্য হন।