কিশোর ও কাঠবেড়ালী
কিশোর: তুলতুলে এই শরীর নিয়ে
কেমন করে কাঠবেড়ালী হলে,
যাও না আমায় বলে।
কাঠবেড়ালী: জানি না ভাই বুঝি না ছাই
কে দিয়েছে আমার এমন নাম,
অনেক তো ভাবলাম।
কিশোর: নামের সঙ্গে মানায় না তো
তোমার এমন দস্যিপনা রূপ,
বলো বলো আছো কেনো চুপ।
কাঠবেড়ালী: কী যে বলি কী যে বলি
আমার মতো ছুটে চলি রোজ
নেবে একটু আমার নামের খোঁজ!
কিশোর: দেখি যদি গুগল করে
তোমার নামের কোনো মানে পাই,
খুঁজে পেলেই বলবো ডেকে ভাই।
কাঠবেড়ালী: দেখো দেখো পাবে হয় তো
আমি তো রোজ ঘুরি গাছে গাছে
কোথাও হয় তো নামের মানে আছে।
কিশোর: কাঠবেড়ালীর নামের মানে
খুঁজতে গিয়ে ছেঁড়ে মাথার চুল
সেই ছড়াটার খোঁজ মেলে যা
লিখেছে নজরুল।
কাঠবেড়ালী: সেই ছড়াটার কথা শুনে
কাঠবেড়ালী তোলে কেবল হাই,
বলে, ওতে লেখা আমি
কী খাই না খাই।
নামের মানে নাই।
কিশোর: কোথাও আছে পাবো ঠিকই
তোমায় নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে,
ভালো থেকো ফুলিও না গাল রাগে।
কাঠবেড়ালী: রাগ করিনি খুশি আমি
আমার কথা তুমি এতো ভাবো!
বুঝিনি এই যুগে এসে এমন বন্ধু পাবো।
কিশোর: তোমরা যারা পশু পাখি
খুশি মনে থাকছো আশপাশে
আছো বলেই প্রকৃতিটা হাসে।
কাঠবেড়ালী: যাই বলো ভাই চলার পথে
তোমার মতো খোকা-খুকি পেলে
তুমি বলো কোন দূরে যাই ফেলে।
কিশোর এবং কাঠবেড়ালীর গল্প চলে ওই
বন্ধু কী চাও খুঁজলে পাবে বন্ধু অবশ্যই।
সবার হতে চাই
না না আমি ড্রইংরুমে হবো না বনসাই
শেকড়গুলো কেটনা প্লিজ বৃক্ষ হতে চাই
চাই না শুধু রাখুক ঘিরে তোমার চোখের মায়া
আমি হবো হাজার লোকের মাথার উপর ছায়া।
মনের কোণে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন জ্বলে আছে
চলতে চলতে ক্লান্ত পথিক বসবে আমার কাছে
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার হবো আমি
আরও কতো ইচ্ছে মনে বলতে বলতে থামি।
রোদ বৃষ্টি শিশির সবাই করবে মাখামাখি
মানুষ ছাড়াও বন্ধু হবে সকল পশু-পাখি
আমার শাখায় আমার ছায়ায় থাকবে জমে ভিড়
যার কেহ নাই চাই হতে চাই তার চেনা এক নীড়।
দু’একজনের জন্য তো নয় সবার হতে চাই
পথের ধারে বৃক্ষ হবো হবো না বনসাই।
আমার একটা নদী আছে
আমার একটা নদী আছে ভীষণ রকম টানে
তার কাছে সব খুলে বলি সে তো সবই জানে
মন হলে ভার তার কাছে যাই
নদী জানে আমি কী চাই
অনেক অনেক গল্প করে ঘরে ফিরে আসি
নদী জানে আমি তাকে কতো ভালোবাসি।
আমার কথা নদী শোনে নদীর কথা আমি
আমরা দুজন দুজনেরই কাছে ভীষণ দামি।
বাঁচার জন্য একটা ভালো বন্ধু প্রয়োজন
নদীর সাথেই ভাগাভাগি করে নিলাম মন।
পাখির বন্ধু নদী, তারা মনের কাছাকাছি
যুগের পরে যুগ চলে যায় একই রকম আছি
নদী শোনায় আমাকে গান আমি শোনাই তাকে
আমরা হাঁটি, গাছপালারা অবাক চেয়ে থাকে।
আমার একটা নদী আছে নদীর কাছে গেলে
দেখি আমি আজও আছি দস্যি কিশোর ছেলে।
ইচ্ছে হলেই পকেট থেকে নদীটা বের করি
ভাসাই তাতে কমলারঙের পাল ওড়ানো তরী।
যার যা ইচ্ছে বলতে পারো করতে পারো রাগ
কেউ পাবে না কেউ পাবে না এই নদীটার ভাগ।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |