রোববার কুড়িগ্রামের রাজারহাটে থার্মোমিটারের পারদ নেমেছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বাংলাদেশে শীতের দাপট মূলত চলে জানুয়ারি মাসজুড়ে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ও মধ্য জানুয়ারিতে দুই দফা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর জানুয়ারির শেষ এসে তৃতীয় দফা শৈত্যপ্রবাহ বইছে। সেই সঙ্গে পাতা ঝরার দিনও চলছে প্রকৃতিতে। বিদায়ের আগে কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছে শীত।
রোববার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে ৬ দশমিক ২, বদলগাছি ও সৈয়দপুরে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, তেঁতুলিয়া, ডিমলা, যশোর আর শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ছিল ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর ঢাকায় থার্মোমিটারের পারদ নেমেছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী অঞ্চলের উপর দিয়ে এখন তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আর ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অন্যান্য এলাকা এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নিকলী, শ্রীমঙ্গল, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
“এ শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের তাপমাত্রা সোমবারও সামান্য কমতে পারে।”
বড় এলাকা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এলে মৃদু; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরা হয়।
গত বৃহস্পতিবার থেকে রংপুর রিভাগসহ গোপালগঞ্জ, সীতাকুন্ড, কুমিল্লা, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে এই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়।
এর আগে গত ১৮-২৩ ডিসেম্বর এবং ২৬-৩১ ডিসেম্বর রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
রোববারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। মধ্যরাত থেকে সকাল পযন্ত ঘন কুয়াশা বিরাজ করতে পারে।