ক্যাটাগরি

উহানের সি ফুড মার্কেটে যাচ্ছে ডব্লিউএইচওর তদন্তকারী দল

রোববার তাদের সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। 

উহানের এ পাইকারি সি ফুড সেন্টারেই ২০১৯ সালের শেষ দিকে প্রথম করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শনাক্ত হয়েছিল।

গত বছরের শুরুতে মার্কেটটি বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে সেখানে সাধারণের প্রবেশাধিকারে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। নিরাপত্তা প্রহরীরা এখনো সারাক্ষণই মার্কেটটিকে ঘিরে রাখে।

বন্ধ হওয়ার আগে মাংস, সামুদ্রিক মাছ ও অন্যান্য প্রাণী এবং শাক-সব্জির আলাদা আলাদা সেকশনে বিভক্ত মার্কেটটির কয়েকশ দোকানে ভিড় লেগেই থাকতো। 

উহানের এই বাজার করোনাভাইরাসের উৎস নয় বলে মনে করছেন চীনের বেশ কিছু কূটনীতিক; দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেরও একই ধারণা। অন্য কোনো দেশে ভাইরাসটির সম্ভাব্য উদ্ভবের তত্ত্বগুলোতে সমর্থনও দিচ্ছে তারা।

হুনান মার্কেটের সঙ্গে রহস্যময় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত চার রোগীর সংযোগ পাওয়ার পরপরই ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের রাতের মধ্যেই বাজারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর জানুয়ারির শেষ দিক থেকে শুরু করে পরবর্তী ৭৬ দিন কঠোর লকডাউনে থাকে এক কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার উহান শহর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম কোভিড-১৯ রোগীরা এখন থেকে শনাক্ত হওয়ায় করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে চীনের এ বাজারটির ভূমিকা এখনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

চীনে পৌঁছানোর পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ দল বৃহস্পতিবার থেকে মাঠ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে। দলটি উহানের বিভিন্ন গবেষণাগার, মার্কেট ও হাসপাতাল পরিদর্শন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তারা কখন কোথায় যাবেন তা ঘোষণা করা না হলেও ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, হুনান মার্কেট ও উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের দলটির।

তদন্তকারী দলের সদস্যদের প্রবেশাধিকার নিয়ে উদ্বেগ এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের কথার লড়াইয়ের কারণে ডব্লিউএইচওর নেতৃত্বাধীন এ দলের মিশন শুরু করতে এমনিতেই বেশ খানিকটা দেরি হয়ে গেছে।

ওয়াশিংটন অনেকদিন ধরেই বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবের তীব্রতা লুকিয়ে রাখার অভিযোগ করে আসছে।

চীনা বিশেষজ্ঞদের হাতেই প্রথম দফার গবেষণা হতে হবে, তদন্তকারী দলের সফরের ক্ষেত্রে চীনের এমন শর্ত নিয়েও আপত্তি আছে তাদের।

ডব্লিউএইচওর তদন্তকারী দলটির উহানে পৌঁছানোর কথা ছিল জানুয়ারির প্রথম দিকে, কিন্তু তারা পৌঁছান মাঝামাঝিতে। এ নিয়ে ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস প্রকাশ্যে বেইজিংয়ের সমালোচনা করেন।

অথচ যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মহামারীর শুরুর দিকে বৈশ্বিক এ সংস্থাটিকে ‘চীনঘেঁষা’ বলে অভিযোগ করেছিলেন।