ঘরের মাঠে শনিবার
২-১ গোলে হেরে যায় ম্যাচের শুরুতেই ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া রিয়াল।
ম্যাচের নবম মিনিটে
এদের মিলিতাও লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার খানিক পরই মার্কো আসেনসিওর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল
মাদ্রিদের দলটি। তবে প্রতিপক্ষে একজন কম থাকার সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগায় লেভান্তে।
হোসে মোরালেসের গোলে দলটি সমতায় ফেরার পর শেষ দিকে রজার লক্ষ্যভেদে হার নিশ্চিত হয়
রিয়ালের।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হওয়ায় এই ম্যাচেও রিয়ালের ডাগআউটে ছিলেন না প্রধান কোচ জিনেদিন জিদান। ম্যাচ শেষে সহকারী
কোচ দাভিদ বেত্তোনির কণ্ঠে ছিল হতাশা।
“আমাদের জন্য এটা বড় এক পরাজয়। কারণ, নবম মিনিট থেকে আমাদের
কঠিন লড়াই করতে হচ্ছিল।”
“আমরা গোল পেয়েছিলাম, কিন্তু তাদের সমতাসূচক গোল আমাদের
জন্য সবকিছু কঠিন করে তোলে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা আমাদের ভালো ছিল এবং কিছু সুযোগও
এসেছিল, কিন্তু দ্বিতীয় গোল হজম আমাদের জন্য বিশাল ধাক্কা হয়ে আসে।”
রিয়াল মাদ্রিদের সহকারী কোচ দাভিদ বেত্তোনি।
সব প্রতিযোগিতা
মিলে মৌসুমে রিয়ালের এটি অষ্টম হার, লিগে চতুর্থ। রোববার কাদিসের বিপক্ষে আতলেতিকো
জিতলে দুই মাদ্রিদের দলের মধ্যে ব্যবধান বেড়ে হবে ১০ পয়েন্ট। তারপরও এক ম্যাচ হাতে
থাকবে দারুণ ছন্দে থাকা আতলেতিকোর।
গত মৌসুমে রিয়াল
লিগ জিতেছিল শেষদিকে ঝড় তুলে। টানা ১০ ম্যাচ জিতেছিল জিদানের দল। আশা না হারিয়ে তাই
শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় বেত্তোনির কণ্ঠে।
“রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকরা তাদের দলের ওপর আস্থা ধরে রাখবে,
কারণ শিরোপার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করাটা ক্লাবের ডিএনএতে রয়েছে।”
“একজন কম নিয়েও আমরা চাপ ধরে রেখেছিলাম এবং এটা খুবই ইতিবাচক
দিক। আমরা অবশ্যই হতাশ, তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি, এজন্য আমরা গর্ব করতে পারি…ছেলেরা খুবই হতাশ, কিন্তু
শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মানসিক শক্তি তাদের আছে।”
আগামী শনিবার লিগে
রিয়ালের প্রতিপক্ষ পয়েন্ট তালিকার তলানির দল ওয়েস্কা।