আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী
ওই ব্যক্তি রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারিগামী ট্রেনে কাটা পড়েন বলে পুলিশ
জানায়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার
এসআই জাহাঙ্গীর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একমুখী রাস্তা হওয়ায় ট্রেনে
কাটা পড়ে ওই ব্যক্তির লাশ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শরীরের অংশগুলো উদ্ধার করে মর্গে
পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর
একমুখী চলাচলের এ সেতু বন্ধ হয়ে যায়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় যান চলাচল বন্ধ থাকায় সেতুর
দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
১৯৩০ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয় ৭০০ গজ দীর্ঘ কালুরঘাট
রেলসেতু। ১৯৫৮ সালে এ সেতুটি সব ধরনের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় তৎকালীন
পাকিস্তান সরকার। সেতুটি নগরী লাগোয়া বোয়ালখালী উপজেলার মানুষের চলাচলের একমাত্র
ভরসা। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার লোক পারাপার হয়।
এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারি রুটে চলাচল করে
দুই জোড়া ট্রেন। দোহাজারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফার্নেস ওয়েল আনা-নেওয়ার জন্যও ট্রেন
চলে এই সেতু দিয়ে।
সংকীর্ণ এই সেতু দিয়ে একসঙ্গে দুই দিকে যানবাহন চলাচল করতে
পারে না। এক দিকের যানবাহন আটকে রেখে অন্যপাশের গাড়ি ছাড়া হয়। একমুখী চলাচলের এই
ব্যবস্থার ফলে প্রতিদিনই যানজটে ভুগতে হয় চলতি পথের যাত্রীদের।