ক্যাটাগরি

কোভিড: যুক্তরাষ্ট্রে মে নাগাদ মরতে পারে আরও দুই লাখ মানুষ

সিএনএন জানায়, মহামারী নিয়ে পূর্বাভাস দিয়ে আসা ‘ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন’ এর গবেষক দল নতুন এই ভয়াবহ পূর্বাভাস দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে মহামারীতে এরই মধ্যে চার লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে মহামারীর যে পরিস্থিতি, তাতে যদি আমেরিকার সব মানুষ মহামারী প্রতিরোধের সব নিয়ম মেনে চলে তারপরও ১ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হবে।

অর্থাৎ, যদি সবাই মাস্ক পরে, ভিড় এড়িয়ে চলে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখে তারপরও আগামী তিন মাসে অন্তত আরও এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ‘দ্য ইন্সটিটিউট ফর হেল্থ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড এভাল্যুয়েশন’।

ওদিকে, করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক এবং ‘সম্ভবত অধিক প্রাণঘাতী’ ধরনটিও পৌঁছে গেছে যুক্তরাষ্ট্রে।

ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা আগেই অবশ্য করোনাভাইরাসের রূপ বদল নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ভাইরাসের নতুন আরও দুইটি ধরন ছড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস’ এর পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফাউচি শুক্রবার বলেন, ‘‘এই ভাইরাস নির্দিষ্টভাবে বিকশিত এবং পরিবর্তিত হতে থাকবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার থেকে সব জনগণকে দ্রুত টিকার আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সব আমেরিকানকে টিকার আওতায় আনতে আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন শুরুতে কোভিড-১৯ মহামারীকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দেননি। যার কারণে আজ দেশটির জনগণকে ভুগতে হচ্ছে।

নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনী প্রচারের সময়ই এই মহামারীর কবল থেকে জনগণকে রক্ষা করতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেকের পরপরই প্রথম যে কয়টি নির্বাহী আদেশ তিনি দিয়েছেন তার মধ্যে একটি হচ্ছে, সব সরকারি অফিসে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা।

এছাড়া, সব আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীর জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষার সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশের ভেতর এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ভ্রমণে ওই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজন কিনা ‍তা নিয়েও বিতর্ক চলছে।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি’র নতুন পরিচালক ডা. রোশেল ওয়ালেনস্কি বলেন, ভাইরাসের নতুন ধরন পৌঁছে যাওয়ার অর্থ এই মহামারী নিয়ন্ত্রণে এতদিন আমেরিকার জনগণকে যা যা করতে বলা হয়েছিল, এখন অবশ্যই তার দ্বিগুণ করতে হবে। অথচ, লাখ লাখ আমেরিকান এখনও এই মহামারীর বিরুদ্ধে কিছুই করতে চাইছেন না।

এ সপ্তাহে হোয়াইট হাউজে এক ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রথমত যখন আপনার পালা আসবে তখন আপনাকে টিকা নিতে হবে। দ্বিতীয়ত মাস্ক পরুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস করুন এবং বার বার হাত ধুয়ে ফেলুন।

“সবশেষে, ভ্রমণ করবেন না। এখন ভ্রমণ করার সময় নয়। আর যদি অতি জরুরি প্রয়োজনে ভ্রমণ করতেই হয় তবে সিডিসির সুরক্ষা নীতিমালা অনুসরণ করুন।”