ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা বিভাগের একটি দল
শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার
করে বলে অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সাদেকুল ইসলাম, মো. ইরফান, মোহাম্মদ আলী রিফাত, মো. কুতুব উদ্দিন, মো. মাছুম রানা ও গোলাম রাব্বি।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ আক্তার বলেন, গত বছরের ২৯ নভেম্বর উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায়
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার সময় আনোয়ারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে
একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে
অপহরণ করা হয়।
“অপহরণকারীরা আনোয়ারুলকে একটি স্থানে আটকে রেখে তার স্ত্রী ও ভাইয়ের কাছ থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে।
পরে তাকে উত্তরা পূর্ব থানাধীন ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে ফেলে দিয়ে যায়।”
এর আগে উত্তরায়
একটি খাবারের দোকানের মালিক
মিহির রায়কে অপহরণের ঘটনায় গত ১৩ জানুয়ারি দুইজনকে
গ্রেপ্তার করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ। সেই খবর সংবাদমাধ্যমে দেখে আনোয়ারুল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন
এবং নিজের ঘটনাটি জানান।
এরপর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নেমে ওই চক্রের ছয়জনকে
গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয় বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, “এভাবে আরও অনেকেই অপহৃত হয়েছেন
এই চক্রের হাতে। তবে বিষয়টি তারা পুলিশকে জানাতে চান না, কারণ ওই চক্র
ভিকটিমকের সঙ্গে নারীদের ছবি তুলে রেখে ভয়ভীতি দেখায়।”
অপহৃতদের কোথায় আটকে রাখা হত জানতে চাইলে সরাসরি জবাব না দিয়ে হাফিজ আক্তার বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের ৫০ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসিকে বলা হয়েছে ভাড়াটিয়া তথ্য ফর্ম হালনাগাদ করতে।
তিনি বলেন, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এ ধরনের চারটি অপহরণের ঘটনা পুলিশ জানতে পেরেছে, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায়
সেসব ঘটনা ঘটেছে।