ক্যাটাগরি

ঢাকায় হাসিনা-মোদী বৈঠক হতে পারে ২৭ মার্চ: পররাষ্ট্র সচিব

রোববার ভারত থেকে ফিরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা জানানোর পাশাপাশি বলেছেন, দিনক্ষণ এখনও পুরোপুরি চূড়ান্ত হয়নি।

তিনি বলেন, “তবে ২৬ শে মার্চ যদি আসেন, সকালের দিকে আসলেন বা দুপুরের দিকে আসলেন, সেক্ষেত্রে বিকাল থেকে আমাদের মূল অনুষ্ঠানটা হবে। সেখানে অংশগ্রহণ করে রাতে হয়ত অফিসিয়াল ব্যাংকুয়েট বা যা করার করব।

“সেক্ষেত্রে পরদিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বা উনি যদি ঢাকার বাইরে যেতে চান, আমরা যদি শিডিউল করতে পারি। এরপর তিনি ফিরে যাবেন।”

ঢাকার বাইরে জাতির পিতার সমাধিস্থল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার বিষয়টি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

গত বছরের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে মুজিববর্ষ উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীও ছিলেন আমন্ত্রিত।

করোনাভাইরাস মহামারী রূপ নেওয়ায় পরে ওই অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়, বিদেশি অতিথিদেরও আসা হয়নি। তবে এরপর ভার্চুয়াল বৈঠকে যুক্ত হয়েছিলেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

আপাতত আসছেন না মোদী

সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় হাসিনা-মোদী শীর্ষ সম্মেলনে
 

মোদীর ঢাকা সফর: কর্মসূচি চূড়ান্তের আলোচনায় বাংলাদেশ-ভারত

২০১৭ সালে নয়া দিল্লির হায়াদ্রাবাদ হাউজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

২০১৭ সালে নয়া দিল্লির হায়াদ্রাবাদ হাউজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে নয়া দিল্লিতে যান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

মোদীর সফরের আগে জয়শঙ্করকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জানিয়ে মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশে আসতে পারেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মোদীর সফর কেবল উদযাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না মন্তব্য করে মোমেন বলেন, মোদীর সফরে মুজিবনগর থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তাবিত স্বাধীনতা সড়ক, ফেনী সেতু এবং মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন হতে পারে।

এই বাইরে সফর ঘিরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ পাঁচ-ছয়টি সমঝোতা স্মারক আলোচনার টেবিলে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

দিল্লিতে সচিব পর্যায়ের আলোচনায় এবারও তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান মোমেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচন। নির্বাচনের সময়ে এগুলো করা কঠিন। যেহেতু মার্চে নির্বাচন, এই সময়ে করা সম্ভব নয়। সেদিক থেকে একটা চ্যালেঞ্জ আছে।”

আরেক প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “ইলেকশন হবে। কিন্তু আমাদের চাওয়ার জায়গাটা যদি অপূর্ণ থেকে যায় তাহলেও হতাশাও আসে, এটা স্বাভাবিক। তবে আমরা আশাবাদী থাকতে চাই।

“আমরা বলেছি, দেখো আমাদের দেশে এটা সবার মধ্যে প্রত্যাশা থাকে, যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। আমরা তাদের এও বলেছি, আমি দেশে গেলেও কিন্তু আমাদের দেশের সাংবাদিকরা প্রথম (প্রশ্ন) করবেন।

“এটা যেহেতু প্রোট্র্যাক্টেড ইস্যু। এটা চট করে কিছু বলে দিবে, নেগেটিভ কিছু বলবে তাও না। তারা পরিমিত পথে কথা বলেছে। তাতে করে তারা যে আন্তরিক না, সেটা বোঝা যায় নাই। কিন্তু আমরাও আমাদের পয়েন্টটা শক্ত করেই বলেছি।”