নেটো জোটের চার উধ্র্বতন কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন। এতে করে সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি করে আসা তালেবানের সঙ্গে বিদেশি বাহিনীর উত্তেজনাও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গতবছরের শুরুর দিকে তালেবানের সঙ্গে সই করা চুক্তিতে তালেবানের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তার বিনিময়ে এবছর মে মাস নাগাদ সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
কিন্তু নেটোর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা এখন বলছেন, “এপ্রিলের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করবে না মিত্র দেশগুলো।”
তিনি বলেন, বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত তালেবান পূরণ করেনি। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসন ক্ষমতায় এসেছে। ফলে নীতির পরিবর্তনও হতে পারে। তাড়াহুড়ো করে অল্প সময়ের মধ্যে সেনা না সরিয়ে আরও হিসাব-নিকাশ করেও সেনা প্রত্যাহার করা হতে পারে।
ওদিকে, নেটোর এক মুখপাত্র বলেন, “নেটো জোটের কোনও দেশই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় আফগানিস্তানে থাকতে চায় না। কিন্তু আমরা পরিষ্কার করেই বলেছি যে, আমাদের সেখানে থাকা না থাকাটা শর্তের ওপর নির্ভর করছে।”
নেটো মিত্রদেশগুলো গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সামনে আগানোর পথ নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানান তিনি।
নেটো মুখপাত্র জানান, আফগানিস্তানে বর্তমানে মার্কিন সেনাসহ প্রায় ১০ হাজার বিদেশি সেনা আছে। আর এই সেনারাই মে মাসের পরও সেখানে থেকে যাবে। তবে এরপরের পরিকল্পনা কী সেটি এখনও পরিষ্কার না।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্রের সরকারসহ কয়েকটি সংস্থা বলছে, তালেবান গোষ্ঠী শান্তিচুক্তির শর্ত মানতে ব্যর্থ হয়েছে। আফগানিস্তানে সহিংসতা বেড়ে গেছে। তালেবান এমনকী আল কায়েদার মতো জঙ্গি দলগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেনি।
তবে তালেবান একথা অস্বীকার করে বলেছে, তারা শান্তিপ্রক্রিয়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মে’র পরও আফগানিস্তানে বিদেশি সেনা রাখায় তালেবানের সম্মতি পাওয়া নেটো এবং ওয়াশিংটনের জন্য কঠিন হবে। পরিস্থিতি অস্পষ্ট থাকলে তালেবান হামলা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকার তালেবানের সঙ্গে হওয়া বিগত মার্কিন সরকারের চুক্তি পুনপর্যালোচনা করে দেখতে শুরু করেছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র বলেছেন, তালেবান শর্ত মানছে না। তবে ওয়াশিংটন শান্তিপ্রক্রিয়ায় অটল রয়েছে এবং তারা ভবিষ্যতে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েনের আর কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।