স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে রোববার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি
২-০ গোলে জিতেছে টমাস টুখেলের দল। চেলসির হয়ে জার্মান এই কোচের এটিই প্রথম জয়। সেসার
আসপিলিকুয়েতার গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান মার্কোস আলোনসো।
আসরে আগের নয় ম্যাচের সাতটিতেই পয়েন্ট হারিয়েছিল চেলসি,
দুই ড্র ও পাঁচ হার। টুখেলের কোচিংয়ে গত বুধবার প্রথম খেলতে নেমে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সের
বিপক্ষে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করে সবশেষ ২০১৬-১৭ মৌসুমে লিগ শিরোপা জেতা দলটি।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও এগিয়ে ছিল
চেলসি। কিন্তু উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না তারা। বেশ কিছুদিন ধরে নিজের
ছায়া হয়ে থাকা টিমো ভেরনার ৩০তম মিনিটে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও ঠিকমতো শট নিতে ব্যর্থ
হন।
৪০তম মিনিটে দারুণ এক গোলে চেলসিকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক আসপিলিকুয়েতা।
ক্যালাম হাডসন-ওডোইয়ের ছোট পাস পেয়ে ছয় গজ বক্সের ডান দিক থেকে উঁচু জোরালো শটে ঠিকানা
খুঁজে নেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়তে পারতো; কিন্তু ডান
দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে হাডসন-ওডোইয়ের শট প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে পোস্টে বাধা
পায়। ৬৮তম মিনিটে এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের আরেকটি কোনাকুনি শট ঠেকাতে ডিফেন্ডার বেন মির
বাড়ানো পায়ে লেগে বল জালে ঢুকতে যাচ্ছিল। দূরের পোস্ট ঘেঁষে বল চলে গেলে সে যাত্রায়
বেঁচে যায় বার্নলি।
৮৪তম মিনিটে আলোনসোর গোলটি দুর্দান্ত। বাঁ দিক থেকে ক্রিস্টিয়ান
পুলিসিকের উঁচু করে বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে ঊরু দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শরীরটাকে বাঁকিয়ে
দুরূহ কোণ থেকে জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আলোনসো।
দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল চেলসি। ২১ ম্যাচে আসরে এটি
তাদের নবম জয়। সঙ্গে ছয় ড্রয়ে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে উঠেছে চেলসি। সমান পয়েন্ট
নিয়ে আট নম্বরে এভারটন, তবে দুই ম্যাচ কম খেলেছে তারা।
২০ ম্যাচে ১৩ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার
সিটি।