গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর
সাভারের আমিন বাজারে ওই লুটের ঘটনা ঘটে।
রোববার পিবিআই এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে ডাকাতির
২২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, অলঙ্কার বিক্রির পাঁচ লাখ টাকা, লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতির
কাজে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন-
সুরেশ হালদার (৪৮), মিঠুন মজুমদার মিঠু (৩৩), উজ্জল চন্দ্র দাস (৩২), মিহির দাস (৩২),
মো. সোহেল আহম্মেদ পল্লব (৪৫), ফারুক হোসেন (৪০), শংকর চন্দ্র ঘোষ (৪৫) ও মিঠুন চৌকিদার
(৩০)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয়, ঢাকার তাতীবাজারের ‘সোনালী গোল্ড হাউজ’ নামের স্বর্ণের দোকানের মালিক অর্জুন
হালদার, তার পুরনো কারিগর সুরেশ হালদারকে নিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ি জেলার পলাশ জুয়েলার্সের
মালিক গৌরাঙ্গ ও রাজলক্ষ্মী জুয়েলার্সের মালিক জয়দেবের কাছে অলঙ্কার দিতে বাসে রওনা
দেন।
সকাল ৮টার দিকে সাভারের
আমিন বাজারে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে চারটি মোটর সাইকেলে আসা ১০-১২ জন মাস্ক পরা ডাকাত
বাসটির গতিরোধ করে বাসে উঠে।
তারা নিজেদেরকে ‘পুলিশ’
পরিচয় দিয়ে অর্জুন হালদার ও সুরেশ হালদারকে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে মোটর সাইকেলে উঠিয়ে
গাবতলীর দিকে নিয়ে যায়।
কিছুদূর গিয়ে ডাকাতরা
মোটর সাইকেল থামিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী অর্জুন হালদারকে মারধর করে তার হাতে থাকা স্বর্ণসহ
ব্যাগ এবং নকিয়া মোবাইল ফোন নিয়ে গাবতলীর দিকে চলে যায়।
কালো রংয়ের ট্রাভেল
ব্যাগে সোনার চেইন, কানের দুলসহ মোট ১৬৬ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ছিল বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়।
এই ঘটনায় অর্জুন হালদার
গত বছরের ১৮ নভেম্বর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। বিচারক মামলাটি
তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, আসামি সুরেশ হালদার জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের
সদস্য, যারা পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করে।
স্বর্ণ বিক্রি করতে
অর্জুন হালদারের রাজবাড়ি যাওয়ার তথ্য সুরেশ তার সহযোগীদের আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন।
আসামিরা আদালতে ১৬৪
ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।