ক্যাটাগরি

ফেব্রুয়ারিজুড়ে বই অনলাইন বিডির বইমেলা

boionlinebd.com এ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বইয়ের বিকিকিনি হবে। প্রতিদিন রাত ১১টায় আয়োজকদের ফেইসবুক পাতা থেকে লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের নিয়ে হবে আলোচনা অনুষ্ঠান।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রোববার সচিবালয়ে ‘এই একুশে বই যাবে ঘরে ঘরে!’ স্লোগানে এই বইমেলার উদ্বোধন করেন।

boionlinebd.com এর সত্ত্বাধিকারী রবিন আহসান জানান, মেলায় সব বইয়ের দামে ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।

“এখন বিশ্বের বেশিরভাগ বইমেলা স্থগিত। কলকাতা বইমেলা স্থগিত করা হয়েছে। একুশের বইমেলাও ঠিক সময় হচ্ছে না। আমরা চিন্তা করলাম যদি অনলাইনে একুশে বইমেলাকে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস ধরে রাখতে পারি, সেজন্য এই মেলার আয়োজন করেছি।”

রবিন বলেন, প্রতিদিন রাত ১১টায় তাদের ফেইসবুক পাতায় লেখক, প্রকাশক ও পাঠাকদের যুক্ত করা হবে বই নিয়ে আলোচনায়। অনলাইনে নতুন যেসব বই বের হচ্ছে, তার খবর প্রচার করা হবে।

“চেষ্টা করব মেলা চলাকালীন ২৮ দিন অন্তত কয়েকজন লেখকের কথা, তাদের বই নিয়ে কথা প্রচার করার জন্য।”

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে অনলাইনে বেচাকেনা বাড়ার পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর জনপ্রিয়তাও বেড়েচে বলে জানান রবিন।

“ইউরোপে করোনার সময় বই বিক্রি বড়েছে, আমাদের এখানে বই সমসময় কম বিক্রি হয়, করোনার সময় আরও কম বিক্রি হয়েছে।”

মেলা নিয়ে পরিকল্পনা তুলে ধরে রবিন বলেন, “দেশের বাইরেও যে বাঙালি লেখকরা আছেন, একুশে বইমেলা উপলক্ষে যারা দেশে আসেন, তাদের সঙ্গে আমরা ফেইসবুকে কানেকটেড হয়ে বই নিয়ে আলোচনা করব।

“একুশের বইমেলাটা যেন একদম নাই হয়ে না যায়, সেই জায়গাটা থেকে… অন্তত অনলাইনে একুশের বইমেলাকে ২৮ দিন পর্যন্ত ধরে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”

তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই অনলাইন বইমেলার আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, “আমাদের দেশ এখন ডিজিটাল, দেশের ১১ কোটির বেশি মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ফলে দেশের বহু মানুষের কাছে অনলাইনে পৌঁছানো সম্ভব।

“অনলাইনে যখন বইমেলা হবে, সেখানে বইয়ের পরিচিতি তুলে ধরবে, বইয়ের লেখকদের নিয়ে এসে তাদের বক্তব্য প্রচার করবে, যে কেউ যে কোনো প্রান্ত থেকে বসেই এতে শরিক হতে পারবেন।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন অনলাইনে বই পড়া যায়। বিমানে বসেও অনলাইনে বই পড়তে পারেন যে কেউ। বই বহন করতে হবে- সে রকম বাধ্যবাধকতা এখন সবক্ষেত্রে নেই।

“দুঃখজনক হলেও সত্য, শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাসটা আগের মত আর নেই। আমি মনে করি বই পড়ার অভ্যাসটা কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আবারও গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই বইমেলা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “মহামারীর মধ্যে জীবন অনেক জায়গায় থমকে গেলেও আমাদের দেশে থমকে যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বের কারণে দেশ কিন্তু করোনা মহামারীর মধ্যেও এগিয়ে গেছে।

“এই করোনা মহামারীর মধ্যে ২০টি দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তারমধ্যে বাংলাদেশে অন্যতম, আমাদের অবস্থান তৃতীয়।”