রোববার ভোররাতে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহবাগ থানার ওসি মামুন অর রশীদ জানান, রাতে শহীদ মিনারের পেছনে তিনজন মেয়ে একটি ছেলেটিকে মারধর করছে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়।
সেখানে বিবস্ত্র ও অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরীকে পাওয়ার পর তাকে পাশেই ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। কিন্তু তার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।
ঘটনাস্থল থেকে খায়ের (৩৬) নামের ওই ভবঘুরেকে আটক করে পুলিশ। তাকে যারা মারছিল, সেই তিন কিশোরীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ওসি বলেন, “তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, মৃত মেয়েটি ওই তিন কিশোরীর বান্ধবী। তারা শহীদ মিনার এলাকায় ভাসমান অবস্থায় থাকে। গ্রেপ্তার খায়েরও ভাসমান। রাতে খায়ের ওই কিশোরীকে খারাপ প্রস্তাব দেয়। রাজী না হওয়ায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।”
মেয়েটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মামুন অর রশীদ।
এদিকে মৃত কিশোরীর মায়ের করা হত্যামামলায় খায়েরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের
মাধ্যমে পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার
এসআই অমল কৃষ্ণ সাহা আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মোর্শেদ
আল মামুন ভূঁইয়া পাঁচ দিন হেফাজতের আদেশ দেন।
শুনানিতে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন
না।