কুড়িগ্রাম
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, ঠাণ্ডার
প্রকোপে ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়ায় মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রতিদিন
গড়ে জেনারেল হাসপাতালের আইডোরে ৭শ’ থেকে ৮শ’ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। ইনডোরে ভর্তি
হচ্ছে গড়ে প্রায় ৬০ জন। যাদের বেশির ভাগ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত বলে জানান তিনি।
“লোকবল
কম থাকায় আমাদের উপর খুব চাপ যাচ্ছে। আমরা হিমশিম খাচ্ছি।
“তবে
রোগীরা ভালো আছে। একটু সাবধানে থাকলে এসব রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।”
বুধবার
এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮
দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে চলতি মৃদু শৈত্য প্রবাহ এ জেলার উপর
দিয়ে আরও কয়েক দিন বইবে।
থীব্র
শতে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো রযেছে চরম
দুর্ভোগে। রাতে ঘন কুয়াশা আর হিমেল ঠাণ্ডা
হাওয়ায় গরম কাপড়েও কমছে না শীত। দিনে সূর্যের
আলো থাকলেও ঠাণ্ডা বাতাসে কাবু করছে মানুষজন।
শহরের
সিএন্ডবি ঘাট এলাকার মহিজন বেওয়া বলেন, “আমার বোন, তার শাশুড়ি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত
হয়েছে। আমি নাগেশ্বীরী থেকে এসেছি তাদের দেকভাল করতে।
এই
এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে শীতজনিত রোগে ভুগছে কেউ না কেউ বলেন তিনি।
এ
এলাকার বাসিন্দা নয়ন জানান, শীতে বয়স্ক মানুষ শ্বাসকষ্ট আর সর্দিকাশিতে কাহিল হয়ে
পরেছে।
“যে ঠাণ্ডা
তাতে কম্বল গায়ে দিয়ে শীত নিবারণ করা যাচ্ছে না।”
সদরের
ধরলা নদী তীরবর্তী চর ভেলাকোপায় বসবাসরত তৃতীয় লিঙ্গের আজাদ ও কামাল জানান, শীতের
কারণে তাদের বেশ কয়েকজন শয্যাশায়ী। বাইরে কাজে বের হতে না পেরে খুব কষ্টে কাটছে
তাদের দিন।
স্থানীয়
গৃহবধূ তানজিলা ও রোশনা জানান, ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করায় তাদের
হাত পা অসাড় হয়ে যায়। বেশিরভাগ গৃহবধূ ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে।
এছাড়া চর্ম
সংক্রান্ত রোগব্যাধীও দেখা দিয়েছে বললেন তারা।