বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের কাছে এর পরপরই আসামিপক্ষ যুক্তিতর্কের
শুনানি শুরু করে।
বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষের অবশিষ্ট
শুনানির জন্য দিন রাখা হয়েছে। তাদের শুনানির পর রাষ্ট্রপক্ষ আবার তাদের বক্তব্যের উত্তর দেবে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গোলাম
ছারোয়ার খান জাকির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামি ফারাবী তার ফেইসবুকে
স্ট্যাটাস দেন যে এই অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা কি মুসলামানদের উপর ফরজ নয়? এ বক্তব্যের কপি
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রদর্শনী হিসাবে আদালতে দাখিল করা হয়েছে।”
অভিজিৎ রায়
আসামিদের ১৬৪ ধারার
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর পর্যালোচনা করে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি হত্যার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ, আদালতে প্রদর্শনী হিসেবে জমা দেওয়া হয় বলে এ আইনজীবী জানান।
এক আসামি অপর আসামিকে ওই ফুটেজের
মধ্যে সনাক্তকরণ, হত্যার আগের
মোবাইল ফোনের ম্যাসেজের কপি প্রদর্শনী আকারে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এ আইনজীবী বলেন, “এ সব সাক্ষ্য এবং সাক্ষ্যের সমর্থনে জমা দেওয়া ডকুমেন্ট কাগজপত্র থেকে হত্যার সঙ্গে আসামিদের
যুক্ত থাকার বিষয়টি আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি।”
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে বলে, ফুটেজে আসামি আবু সিদ্দিক সোহেল তদন্ত কর্মকর্তার কাছে নিজে
নিজের ছবি শনাক্ত করেছেন আর আসামি আবু সিদ্দিক সোহেলের চলচিত্র অপর আসামি
মোজাম্মেল হোসেন সায়মনও শনাক্ত করেছেন। সায়মন আরো এক আসামিকে শনাক্ত করেছিলেন যার
নাম মুকুল রানা ওরফে শরীফুল ইসলাম ওরফে হাদী। যিনি ঢাকার খিলগাঁও এলাকার একটি
বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এ কারণে তার নাম
অভিযোগপত্রে আসেনি।
গত ২৭ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলায়
আদালতে আত্মপক্ষ শুনানিতে কারাগারে অন্তরীণ চার আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
তাদের প্রত্যেককে তাদের বিরুদ্ধে
রাষ্ট্রপক্ষে কে কি সাক্ষ্য দিয়েছেন তা পড়ে শুনানো হয়। এরপর বিচারক তাদের কাছে জানতে
চান,
তারা দোষী না নির্দোষ। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ
দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
আরাফাত রহমান সাজ্জাদ ওরফে শামস্
ওরফে সিয়াম তার আত্মপক্ষ সমথর্নে লিখিত বক্তব্য জমা দিলেও অন্যরা মৌখিকভাবে তাদের
পক্ষে বক্তব্য দেন। সে সময় আদালতে
তাদের পক্ষে কেউ সাফাই সাক্ষ্য দেননি।
এর আগে মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৩৪
জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য নেন বিচারক।
আদালত নিজেদের নির্দোষ দাবি করা
অপর আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, ও শাফিউর রহমান
ফারাবী।
অন্যতম আসামি বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ
জিয়াউল হক জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ
পলাতক আছেন।