এনিয়ে আলোচনার মধ্যে বুধবার সাংবাদিকদের
প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব। উই আর লুকিং ইনটু ইট।
আমরা দেখি কীভাবে কী করা যায়।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ইন্ডিয়াসহ
অন্যান্য দেশে জাজেসরা (গণমাধ্যমের) ক্ষেত্রে লিনিয়েন্ট। তথ্যগত যদি বড় রকমের কিছু
থাকে..”
আল জাজিরার প্রতিবেদন ‘অপপ্রচার’: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আল জাজিরার প্রতিবেদনের প্রতিবাদ সেনা সদরের
আল জাজিরার প্রতিবেদনের ব্যবহৃত ছবি নিয়ে তিনি
বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর পেছনে দুজন ভদ্রলোক আছেন; বলছে, ওনারা বডিগার্ড।
“প্রধানমন্ত্রী কখনও বডিগার্ড ব্যবহার
করেননি, বিরোধী দলে থাকতেও উনার বডিগার্ড ছিল না। সব নেতৃবৃন্দ উনার বডিগার্ড। কেউ
এসে পেছনে ছবি তুলল বলে বডিগার্ড হবে এটা সত্য না।”
মোমেন বলেন, “আপনাদের মনে আছে, ২০০৪ সালেও
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন অপজিশন লিডার, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কারা ছিল ওনার পাশে।”
সে সময় শেখ হাসিনার পাশে সুরঞ্জিত
সেনগুপ্ত, সাবের হোসেন চৌধুরী ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার থাকার কথা উল্লেখ
করে তিনি বলেন, “কোনো পয়সা দিয়ে বডিগার্ড উনি নিতেন না কখনও, অভ্যাসও নাই।
”ওরা (আল জাজিরা) বিরাট একটা ইয়ে দিয়ে দিল…
তথ্যগত যেখানে ভুল আছে, আমরা অবশ্যই লিগ্যাল অ্যাকশন নিতে পারব।”
তিনি বলেন, ”এটা একটা ডাঁহা মিথ্যা,
আল-জাজিরার মতো একটা নাম করা মিডিয়া এটা দিয়েছে। এখন না হয় এসএসএফ থাকে, উনার কোনো
বডিগার্ড ছিল না। ওখানে বলছে, দুই ভাই বডিগার্ড ছিল। এরকম ডাঁহা মিথ্যা আল-জাজিরা
প্রকাশ করতে পারল! তাদের উচিত ক্ষমা চাওয়া।”
আল-জাজিরার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে কি
না- সে প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এখনও হয়নি।”
আল জাজিরার প্রতিবেদন উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার: কাদের
আল জাজিরার প্রতিবেদন ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ অংশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবাদ ও
নিন্দা জানানোর কথা উল্লেখ করে আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ভালো তারা
অনেক দিন ধরে দেখতে পারে না। শুধু বাংলাদেশ না, মুসলমান দেশগুলোর সরকারের দোষ, আল
জাজিরার কাজ হল তা বের করা। আমাদের দেশ, যেভাবে উন্নয়ন করতেছে, তাদের খুব লাগছে।“
আরেক প্রশ্নে মন্ত্রী মোমেন বলেন, “সম্প্রচার,
অ্যাক্সেস বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নাই। আমি তা মনে করি না। আমেরিকাতে
আল-জাজিরা আপনি দেখতে পারবেন না। দেখতে হলে অতিরিক্ত কর দিতে হবে। অন্য মিডিয়া
বিনা পয়সায় দেখতে পারবেন।
“অনেকের ধারণা, তাদেরকে কেউ টাকা দিয়েছেন,
তারা বানাচ্ছে। আল-জাজিরা বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করেছে। আমরা আশা করব, আল-জাজিরা আরও
দায়িত্বশীল হবে।”