প্রথম দিন চা বিরতির একটু আগে আউট হন সাদমান। তার আউটের কয়েক ওভার আগে বিদায় নেন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। অনেকক্ষণ দলকে টানলেও তাই সাদমানের আউটে বেশ বিপাকে পড়ে যায় দল।
দিন শেষে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সাদমানের প্রতিক্রিয়ায় ফুটে উঠল স্বস্তি আর হতাশার মিশেল।
“অনেক দিন পর ফিরেছি। দল আমার কাছে যে আশা করেছে, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আরেকটু বড় করতে পারলে ভালো হতো। আমি চেষ্টা করেছি দলের জন্য কিছু করতে।”
সাদমানের ব্যাটিং টেস্টের জন্য বেশি উপযোগী বলে এই সংস্করণেই মূলত তাকে ঘিরে বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনা। তিনি নিজেও সেটা জানেন। তাই দলের বাইরে থাকার সময় নিজেকে শাণিত করার চেষ্টা করেছেন নিবিড় অনুশীলনে। পাশাপাশি দলের সঙ্গে অনুশীলন তো ছিলই। এসবের ফলই ফেরার টেস্টে মিলেছে, বললেন সাদমান।
“একটা সংস্করণে খেলতে হলে এসবের মুখোমুখি হতে হয়। আমি ওভাবেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থেকেছি। আমার তো টেস্ট ক্রিকেট দিয়েই ফিরতে হতো। এজন্য চেষ্টা করেছি ফতুল্লায় গিয়ে অনুশীলন করে নিজেকে যেন প্রস্তুত রাখা যায় আর সুযোগ এলে যেন কাজে লাগানো যায়।”
“প্র্যাকটিস আমাদের খুব ভালো হয়েছে। ব্যাটে-বলে টাচ খুব ভালো ছিল। যে কারণে হয়তো পারফরম্যান্স বেরিয়ে এসেছে।”
এত লড়াইয়ের পর আউট হলেন যে শটে, সেটির দায় নিজেই নিলেন তিনি।
“ম্যাচে কোনো সমস্যা আমি অনুভব করছিলাম না। মিস হয়ে গেছে, ভুল শটে আউট হয়ে গেছি।”
যে সিদ্ধান্তে তিনি আউট হয়েছেন, সেটি অবশ্য ছিল ভুল। জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে আম্পায়ার তাকে এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর রিভিউ না নিয়ে ফিরে যান সাদমান। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল চলে যাচ্ছিল লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে দিয়ে। দিন শেষে অবশ্য জানান, স্টাম্পে লাগবে নিশ্চিত ছিলেন বলেই তিনি রিভিউ নেননি।