বুধবার চট্টগ্রামে ইসলামী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় তার অবদান’
শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু ছিলেন উদার চেতনার
অধিকারী খাঁটি ইমানদার মুসলমান। ইসলামকে কখনও তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি।
বাংলাদেশকে সকল ধর্মের মানুষের শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি ছিলেন সচেষ্ট।”
বঙ্গবন্ধু যেমন স্বাধীন বাংলার স্থপতি, তেমনিভাবে সরকারি
পৃষ্ঠপোষকতায় ‘ইসলাম প্রসারের স্থপতি’ও ছিলেন বলে মন্তব্য করেন ফরিদুল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বল্পকালীন শাসনামলে দেশ ও জাতির
কল্যাণে যেমন নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তেমনি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের মানুষের
ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের বিষয় বিবেচনায় রেখে ইসলাম প্রচারেও বাস্তব ও কার্যকরী
নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু হজযাত্রীদের সরকারি
তহবিল থেকে অনুদানের ব্যবস্থা ও হজ ভ্রমণ কর রহিত করেন।
“কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা
কথায় কথায় নিজেদের ইসলামের সেবক দাবি করলেও তাদের আমলে সরকারি অনুদান বন্ধ করে দেওয়া
হয়েছিল।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ইসলাম প্রচারের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদানের
কথা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের সংক্ষিপ্ত শাসনামল
এবং তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামের জন্য যেসব উল্লেখযোগ্য
অবদান রেখে চলেছেন পৃথিবীতে তার দৃষ্টান্ত বিরল।”
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা
সভায় বক্তব্য রাখেন সাংসদ আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, ধর্ম সচিব মো. নুরুল
ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব আব্দুল হামিদ জমাদ্দার, ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ফারুক
আহমেদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম,
দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।