আগের বছরের জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর গত ডিসেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল।
বুধবার একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মূল্যস্ফীতি নিয়ে
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রতিবেদনের এ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতির
অর্থ হল, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে যে পণ্য বা সেবার জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হত, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সেই পণ্য বা সেবার জন্য ১০৫ টাকা ২ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে খাদ্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। আগের বছরের জানুয়ারির
৫ দশমিক ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে এবার ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ হয়েছে।
আর খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতির হার গত বছরের জানুয়ারির ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে বেশ খানিকটা
কমে এ বছরের জানুয়ারিতে হয়েছে ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
জানুয়ারিতে দেশের গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। আগের বছরের জানুয়ারিতে এই হার ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ ছিল, এবার মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ শতাংশ।
আর শহরাঞ্চলের এ
বছরের জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। আগের বছরের জানুয়ারি মাসে এই হার ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ ছিল।
মূল্যস্ফীতি কমা ‘ভালো লক্ষণ’ মন্তব্য করে
পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, “যদিও কেউ কেউ চালের দাম নিয়ে লাফালাফি করেছিল, তাতেও ক্ষতি হয় নাই। এবং আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের আস্থা, আগামী মাসেও কমবে।”