গত অগাস্টে নার্ভ এজেন্ট ‘নোভিচক’ দিয়ে হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর জার্মানিতে কয়েক মাসের চিকিৎসা শেষে
১৭ জানুয়ারি দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার হন নাভালনি।
অর্থ আত্মসাতের
মামলায় স্থগিত দণ্ড চলাকালে নাভালনির নিয়মিত পুলিশের কাছে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল,
যা তিনি লংঘন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
এখন স্থগিত ওই দণ্ডই
কারাদণ্ডে রূপান্তর করা হয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই মামলায় সাজা হওয়ার
পর এক বছর গৃহবন্দি দশায় কাটিয়েছেন নাভালনি। রায় অনুযায়ী, ওই এক বছর মোট কারাদণ্ড থেকে
বাদ যাবে।
আদালতে বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট
পুতিনকে ‘বিষ প্রয়োগকারী’ আখ্যায়িত করেছেন নাভালনি। তার ওপর এই হামলার জন্য তাকে দায়ী
করেছেন তিনি।
রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক
বিক্ষোভের ডাক দেন নাভালনির সমর্থকরা। আদালতের বাইরে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তবে
পুরো এলাকায় দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন ছিল।এ সময় নাভালনির তিন শতাধিক সমর্থককে গ্রেপ্তার
করা হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন।
নাভালনির কারাদণ্ডের
বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন নাভালনির আইনজীবী।
তার সাজা ঘোষণার কঠোর
সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মহল। কাউন্সিল অব ইউরোপ এই রায়কে অগ্রহণযোগ্য আখ্যায়িত
করেছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডোমিনিক রাব একে ‘ন্যায়ভ্রষ্ট’ আখ্যায়িত করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো
মাস বলেছেন, এই রায় জনগণের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতি আঘাত।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্লিনকেন অবিলম্বে নাভালনির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন। ‘জনগণের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থতার’
জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহির আওতায় আনতে মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন
তিনি।