চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন দ্বিতীয় সেশনে পঞ্চাশে পা রাখেন সাদমান। ১২৮ বল খেলে তিনি স্পর্শ করেন ফিফটি। তাতে ডট বল ছিল ঠিক ১০০টি, বাউন্ডারি ৬টি।
২০১৮ সালে মিরপুরে অভিষেক টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই একমাত্র টেস্টে ৭৬ করেন সাদমান। এরপর ১০ ইনিংস খেলে ফিফটি ছিল না আর। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেয়েই করে ফেললেন আরেকটি ফিফটি।
২০১৯ সালে ভারত সফরের পর এটিই সাদমানের প্রথম টেস্ট। ব্যাটে রানের ঘাটতি তো ছিলই। সঙ্গে যোগ হয়েছিল চোট। সব মিলিয়ে গত বছর কোনো টেস্ট খেলতে পারেননি তিনি। এবার স্কোয়াডে ফিরলেও একাদশে জায়গা পাওয়া নিশ্চিত ছিল না ম্যাচের আগের দিনও। তার সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন সাইফ হাসানও। শেষ পর্যন্ত টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা পান সাদমান। ভরসার প্রতিদানও দিলেন তিনি।
ম্যাচের প্রথম বলেই কেমার রোচের বলে বাউন্ডারি দিয়ে শুরু হয় সাদমানের যাত্রা। এরপর দু-একবার অস্বস্তিতে পড়লেও বেশির ভাগ সময় খেলেছেন স্বচ্ছন্দেই। বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে পৌঁছে যান ফিফটিতে।
এরপর ইনিংসটি অবশ্য আর বড় করতে পারেননি সাদমান। তাতে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত যেমন ছিল, দায় ছিল সাদমানের নিজের আর মুশফিকুর রহিমের। ৫৯ রানে তাকে এলবিডব্লিউ দেন অভিষিক্ত আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। মুশফিকের সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউ নেননি সাদমান। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল চলে যাচ্ছিল লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে দিয়ে।