প্রথম দিনে বাংলাদেশের একমাত্র ফিফটি এসেছে সাদমানের ব্যাট থেকেই। প্রায় চার ঘণ্টা একটা প্রান্ত আগলে রাখেন তিনি। ১৪ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে উপহার দেন দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং। কিন্তু বড় গড়বড় করে ফেলেন রিভিউয়ের ব্যাপারে।
৫৯ রানে বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে সাদমানকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। অপরপ্রান্তের ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে খানিকক্ষণ কথা বলে সাদমান রিভিউ না নিয়েই ফিরে যান ড্রেসিং রুমে। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি চলে যাচ্ছিল লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে।
বাঁহাতি স্পিনারের বল পিচ করে আরও টার্ন করছিল, রিভিউ নেওয়ায় তাই এমনিতেই ঝুঁকি খুব একটা ছিল না। বাংলাদেশ দলের রিভিউয়ের টানাটানিও ছিল না। কোভিডকালিন সময়ে রিভিউ সংখ্যা বাড়িয়ে নিয়ম করা হয়েছে প্রতি দলের জন্য তিনটি করে অসফল রিভিউয়ের। বাংলাদেশের সবগুলি রিভিউ তখনও অটুট।
তারপরও কেন রিভিউ নেওয়া হলো না? সাদমান জানালেন, তার মনে সংশয়ই জাগেনি।
“রিভিউ অবশ্যই নেওয়া উচিত ছিল। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছিল, ইন-লাইন ছিল। উইকেটে হিট করবে। এজন্য রিভিউ নেইনি।”
“হতাশ তো বটেই। তবে এটা ম্যাচেরই অংশ, মেনে নিতে হবে।”
রিভিউ নেওয়া বা না নেওয়ার ক্ষেত্রে সবসময়ই বড় একটা ভূমিকা থাকে অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানের। সাদমানের সঙ্গে তখন উইকেটে ছিলেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। এখানে তার আরও শক্ত ও সুষ্পষ্ট ভূমিকা রাখা উচিত ছিল কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে।
সাদমান অবশ্য বললেন, নিজের ভাবনাকেই তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন এখানে।
“মুশফিক ভাই জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘কি হয়েছে?’ আমি তাকে বলেছিলাম, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে যে লাইনে আছে, উইকেটে লাগবে।’ এজন্য আমি আর নেইনি রিভিউ।”