মুখের মতো হাতের ত্বকও সৌন্দর্য প্রকাশে
অবদান রাখে। বলিরেখা ও শুষ্কভাব হাতের সৌন্দর্য নষ্ট করে। তাছাড়া বয়সের কারণেও ত্বকে
দেখা দেয় ভাঁজ। এই সমস্যা কমিয়ে রাখা যায় সাধারণ কিছু পন্থায়।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
প্রতিবেদন অবলম্বনে হাতের ত্বক সুন্দর রাখার উপায় সম্পর্কে জানান হল।
পর্যাপ্ত পানি পান: পানি পরম বন্ধু! পানি শূন্যতা ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে ও হাতে বলিরেখা ফুটে
ওঠে। তাই নিজেকে আর্দ্র রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
সানব্লক: অনেকেই
কেবল মুখে সানব্লক ব্যবহার করেন। মনে রাখতে হবে মুখের মতো শরীরের অন্যান্য অংশ যা রোদে
উন্মুক্ত থাকে তাতেও সানব্লক ব্যবহার করা দরকার। সাধারণত, মুখের মতো হাতও রোদে উন্মুক্ত
থাকে। তাই বাইরে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে এসপিএফ ৩০ সমৃদ্ধ সানব্লক ব্যবহার করা উচিত। আর
প্রতি দুতিন ঘণ্টা পর পর তা পুনরায় ব্যবহার করতে হবে।
সানব্লক ব্যবহারে অনেকের ত্বক তৈলাক্ত
হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ‘ম্যাট ফিনিশিং’ দেয় এমন সানব্লক বেছে নিতে হবে। অথবা সানব্লক
ব্যবহারে পরে ত্বকে পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে, যেন তৈলাক্তভাব শুষে নেয়।
মনে রাখা দরকার, আকাশ রোদেলা বা মেঘলা
যেমনই থাকুক না কেনো সানব্লক ব্যবহার বাদ দেওয়া যাবে না।
হাতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: ত্বক ভালো রাখতে ময়েশ্চারাইজারের বিকল্প নেই। অনেকেই মনে করেন
তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই, যা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তৈলাক্ত
ত্বকে মৃদু ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরী। মিশ্র ত্বকে খুব বেশি শুষ্ক অংশে ময়েশ্চারাইজার
ব্যবহার করা প্রয়োজন।
রাতে সঠিক পরিচর্যা: রাতে মুখের ত্বক যত্ন নেওয়া হলেও অনেকেই হাতের ত্বকের যত্ন নেওয়ান বিষয়টাকে
অবহেলা করেন। রাতে ‘হ্যান্ড ক্রিম’ বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা উপকারী। এটা সারা
রাত ত্বকে থেকে শোষিত হয় ও আর্দ্রতা ধরে রাখে। হাতের ক্রিম নির্বাচনের ক্ষেত্রে গ্লাইকোল
অ্যাসিড বা হ্যালোরনিক অ্যাসিড আছে কিনা দেখে বেছে নিতে পারেন।
স্যানিটাইজারের বদলে হাত ধোয়া: হাত পরিষ্কার রাখতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা সহজ উপায়। তবে এটা
হাত শুষ্ক করে ফেলে। তাই যদি সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার সুযোগ থাকে তাহলে সেটাই ব্যবহার
করতে হবে। স্যানিটাইজার আর্দ্রতা কেড়ে নিয়ে হাতকে শুষ্ক করে ফেলে। যে কারণে ত্বকে দেখা
দিতে পারে বলিরেখা ও বয়সের ছাপ। তাই হাত ধোয়ার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে
হবে।
আরও পড়ুন