প্রায় ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকায় এই ট্যাংকারগুলো কেনা
হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
যে ট্যাংকারগুলো কেনা হচ্ছে, তার মধ্যে এক লাখ ৪০ হাজার ঘন
মিটার ধারণ ক্ষমতার দুটি, এক লাখ ৭৪ হাজার ঘন মিটার ধারণ ক্ষমতার দুটি এবং এক লাখ ৮০
হাজার ঘন মিটার ধারণ ক্ষমতার দুটি।
বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর
সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিএসসির এলএনজি ট্যাংকার ছয়টি কেনার বিষয়টি
ওঠে।
শিল্পের কাঁচামাল গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ২০১৮ সালে মহেশখালী
উপকূলে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বসিয়ে এলএনজি আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ।
প্রাকৃতিক
গ্যাসকে শীতলীকরণের মাধ্যমে যখন তরলে পরিণত করা হয়, তখন তাকে এলএনজি বলে।
দেশে
বর্তমানে প্রতিদিন ৩৬শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে বিভিন্ন গ্যাস
ক্ষেত্র থেকে সর্বোচ্চ ২৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। ফলে ঘাটতি থেকে
যাচ্ছে বলে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির পথ বেছে নিয়েছে সরকার।
নৌমন্ত্রণালয়ের
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহেশখালী দ্বীপের কাছে দেশের দুটি
এলএনজি টার্মিনাল এবং একাধিক স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের পরিপ্রেক্ষিতে
এলএনজি ট্যাংকার কেনার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
এই ট্যাংকারগুলো দিয়ে বছরে প্রায় ১৯ মিলিয়ন ঘন মিটার
(৬.৭১ মিলিয়ন টন) এলএনজি পরিবহন করা সম্ভব হবে।
এগুলো কেনা হলে এলএনজি পরিবহনে বিদেশি জাহাজের উপর
নির্ভরশীলতা কমার পাশাপাশি নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কয়েকটি দেশের ১৪টি প্রতিষ্ঠান এলএনজি
ট্যাংকার সংগ্রহে আর্থিক সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, সরকার বিএসসিকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে
পরিণত করার লক্ষ্যে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে চীনের আর্থিক সহায়তায় ১ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা
ব্যয়ে চীন থেকে ছয়টি জাহাজ কিনেছে।
জাহাজগুলো হল- এমভি বাংলার জয়যাত্রা, এমভি বাংলার সমৃদ্ধি,
এমভি বাংলার অর্জন, এমটি বাংলার অগ্রযাত্রা, এমটি বাংলার অগ্রদূত এবং এমটি বাংলার অগ্রগতি।
বর্তমানে বিএসসির বহরে আটটি জাহাজ রয়েছে।