বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিজের বাড়িতে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
এর
এক দিন আগেই ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) ২০২০ সালে পাঁচটি মানদণ্ডে বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্র
পরিস্থিতি বিচার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে,, যাতে বাংলাদেশের চার ধাপ উন্নতির তথ্য
আসে।
কাদের
বলেন, “নিন্দুকের
মুখে ছাই দিয়ে এ প্রতিবেদনে করোনাকালে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অব্যাহত উত্তরণকেই বিশ্বের মাঝে তুলে ধরা হয়েছে।
“করোনা মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন গণতন্ত্রের পরিসর সংকুচিত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের এ অগ্রগতি শেখ হাসিনা সরকারের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার বৈশ্বিক স্বীকৃতি। এ স্বীকৃতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার গতিকে আরও বেগবান করবে।”
বাংলাদেশে
গণতন্ত্র নেই বলে যে সমালোচনা বিএনপি করে আসছে, তার জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ
সম্পাদক বলেন,
“বিএনপির অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতিই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশে প্রধান বাধা।
“বিএনপি প্রায়ই বলে, সরকার নাকি দেশকে বিরোধীদল শূন্য করতে চায়। প্রকৃতপক্ষে জনগণ বিএনপিকে একটি দায়িত্বশীল ও শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবেই দেখতে চায়।”
বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি মহাসচিব চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করলেও অরাজনৈতিক ভাষায় সরকারের সমালোচনা করছেন এবং অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন। বিদেশে বসে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার আর কল্পিত অভিযোগ সম্বলিত কথামালার চাতুরি ছাড়া কিছুই নয়।
“বিএনপি নিজেদের অতীত ভুলে গিয়ে সরকারের সমালোচনা করছে। বিএনপি নিজেই এখন উন্মত্ত। অন্ধকারে অলি গলি খুঁজে ব্যর্থ হয়ে কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে তারা এখন আবোল তাবোল বকছে।”
তিনি
বলেন, “এদেশে
রাজনীতিতে যা কিছু জনবিরোধী এবং অকল্যাণকর, তার সবকিছুই বিএনপির হাত ধরেই হয়েছে।”