‘বস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের
‘ভিটামিন ডি. ত্বক ও হাড়’ বিভাগের গবেষক ও পরিচালক ড. মিশেল এফ হলিকের করা গবেষণা থেকে
জানা যায়, সূর্যের আলোর অতিবেগুনি রশ্মি যেভাবে মানব শরীরে ভিটামিন ডি উৎপন্ন করে,
তেমনি ভাবে অতিবেগুনি রশ্মি’র সংস্পর্শে থাকা মাশরুম শরীরে ভিটামিন ডি’র চাহিদা মেটাতে
পারে।
অন্যদিকে ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত
করা যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল হেল্থ অ্যান্ড নিউট্রিশন একজামিনেইশন সার্ভে’ থেকে জানা
যায় মাশরুম গ্রহণের মাধ্যমে নানান ধরনের পুষ্টি চাহিদা মেটানো সম্ভব।
‘ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন জার্নাল’য়ে
প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে জানানো হয় গবেষকরা ১:১:১ অনুপাতে সাদা, ক্রিমিনি, পোর্টাবেলা
মাশরুম নিয়ে গবেষণা চালান।
ফলাফলে দেখা যায় সূর্যালোকে বেড়ে ওঠা
মাশরুম এবং ওয়েস্টার মাশরুম ৯ থেকে ১৮ বছরের মানুষের জন্য এবং ১৯ বছরের ওপরে ৮৪ গ্রাম
বা আধা কাপ পরিমাণ মাশরুম গ্রহণ করা উপকারী।
৮৪ গ্রাম মাশরুম খাবারে যোগ করার মাধ্যমে
পটাশিয়াম ও আঁশের ঘাটতি পূরণ করে। ৫ শতাংশ খাদ্য-আঁশ, ২৪ শতাংশ কপার, ৬ শতাংশ ফসফরাস,
১২ শতাংশ পটাশিয়াম, ১৩ শতাংশ সেলেনিয়াম বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও, দেখা যায় মাশরুম কিশোর ও প্রাপ্ত
বয়স্কদের ৫ শতাংশ দস্তা, ১৩ শতাংশ রিবোফ্লাভিন, ১৩ শতাংশ নায়াসিন ও ৫ শতাংশ কোলিন বৃদ্ধি
করে।
তবে ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেইট, চর্বি
ও সোডিয়ামের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।
মোট কথা হল, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডায়েটারি
গাইড লাইন’ অনুযায়ী প্রতিদিনের খাদ্য-তালিকায় মাশরুম যোগ করার মাধ্যমে শরীর ভালো ও
সুস্থ রাখার পাশাপাশি দৈনিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন