মধুপুর পৌরসভার মাষ্টারপাড়া
এলাকার এই ছাত্রী (১৪) মধুপুর রানীভবানী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
তবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত
রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ১৪ ডিসেম্বর এই ছাত্রীকে
অপহরণ করা হয় বলে তার পরিবারের অভিযোগ। এই ঘটনায় গত ২৭ ডিসেম্বর ওই স্কুলছাত্রীর মা
বাদী হয়ে মধুপুর থানায় তিন জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আসামিরা হলেন মধুপুরের
বৃত্তিবাড়ী গ্রামের জলিলের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩২), নাহিদুল ইসলাম (২১) ও শালিকা গ্রামের
আব্দুল করিমের ছেলে শাহীন (৩০)।
ওই স্কুলছাত্রীর মায়ের
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পাশের বৃত্তিবাড়ী এলাকার নজরুল ইসলাম তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব
দিয়ে আসছিল; রাস্তায় আসা-যাওয়ার পথে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত এবং উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করার
হুমকি দিত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়,
গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রি. সন্ধ্যায় মেয়েটি নানার বাড়ি মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাক্ষণবাড়ী
থেকে ফেরার পথে মজিদচালা গ্রাম থেকে নজরুলসহ তার ৩/৪ জন সহযোগী অটোরিকশায় তুলে অপহরণ
করে নিয়ে যায়।
মামলার বরাতে মধুপুর থানার
পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনসহ খোঁজাখুঁজি
করে তাকে না পেয়ে পরদিন [১৫ ডিসেম্বর] মধুপুর থানায় মেয়েটির দাদা সাধারণ ডায়েরি করেন।
ছানোয়ার হোসেন আরও জানান,
এসআই সুশান্তকে এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান
অব্যাহত রয়েছে।
“আশা করি, দ্রুত এফআইআরভূক্ত
সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারব।”
ওই ছাত্রীর মা-বা কান্নাজড়িত
কন্ঠে এই সাংবাদিকদের বলেন, ‘অপহরণের’ দেড় মাস পার হয়ে গেলেও তাদের মেয়েকে উদ্ধার করা
যায়নি। একজন আসামিকেও এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মামলা করার কারণে তারা
নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলেও জানান।
মেয়েটি বাবা বলেন, “নজরুলের
পরিবার আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমাদের মেয়েকে আমরা ফিরে পেতে চাই।”
তিনি এজন্য প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন
কর্মতকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করছেন।
